ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: একজন আদর্শ শিক্ষকের নাম শুধু পাঠদানেই সীমাবদ্ধ থাকে না-তিনি হয়ে ওঠেন চরিত্র গঠনের কারিগর, সমাজের রূপকার। এমনই একজন কিংবদন্তি শিক্ষক ছিলেন মরহুম ফজলুল হক খান। সাবেক প্রধান শিক্ষক, ধলিয়া বহুলী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় এবং প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ, ধলিয়া বহুলী স্কুল এন্ড কলেজ-এই দুটি প্রতিষ্ঠানে তাঁর নেতৃত্ব ও অবদানের কথা এখনো শিক্ষার্থী, সহকর্মী ও এলাকাবাসীর মুখে মুখে।
তাঁর শাসনে ছিল শৃঙ্খলা, আর ভালবাসায় ছিল নেতৃত্ব। শিক্ষার প্রতিটি স্তরে তিনি ছিলেন নির্ভরতার নাম। তাঁর সেই বিখ্যাত “গলা খাকারি”-শুধু একটি শব্দেই পুরো স্কুল যেন থমকে যেতো, ফিরে আসতো নিরবতায়। তাঁর ব্যক্তিত্বের এমন প্রভাব একমাত্র সত্যিকারের নেতার পক্ষেই সম্ভব।
এ প্রসঙ্গে এ্যাপোলো ইনস্টিটিউট অব কম্পিউটারের অধ্যক্ষ এ.আর.এম. শামসুর রহমান এক আবেগঘন স্মৃতিচারণে বলেন, “লিজেন্ডারি শিক্ষক, সুনিপুণ শিক্ষা প্রশাসক, আমার মত হাজারো ছাত্রের আইডল ছিলেন ফজলুল হক খান স্যার। যাঁরা ওনার ছাত্র হতে পেরেছি, আমাদের জন্য তা আজীবনের গর্ব-আমি ফজলু স্যারের ছাত্র। সম্পর্কের দিক থেকে উনি আমার নানার কাজিন (নানা) হলেও নাতির দাবীতে ওনার কাছে যাওয়ার সুযোগ ছিল না কখনো! তিনি ছিলেন প্রজ্ঞার প্রতীক, শৃঙ্খলার প্রতিমূর্তি। আমার সৌভাগ্য যে শিক্ষকতা জীবনের শুরুতেই আমি ওনার বিশ্বস্ত সহকর্মী হিসেবে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলাম। এমন ব্যক্তিত্ব, এমন সাহস যুগে যুগে অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।”
ফজলুল হক খানের শাসন ও শিক্ষাদান শুধু শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ গড়েই থেমে থাকেনি, তিনি সহকর্মীদের প্রতিও ছড়িয়েছেন প্রজ্ঞা, আন্তরিকতা ও নেতৃত্বের আলো। তাঁর গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠান দুটি আজও তাঁর রেখে যাওয়া নীতিমালার আলোকে পরিচালিত হচ্ছে।