close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন আরও ১৬১ বাংলাদেশি, আরও অপেক্ষায় অনেকে..

Samim Miya avatar   
Samim Miya
লিবিয়ায় আটকেপড়া ১৬১ বাংলাদেশি নাগরিক নিরাপদে দেশে ফিরেছেন। বাংলাদেশ দূতাবাস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় তাদের ফেরানো হয়েছে। আরও ১৬০ জনকে ২৬ মার্চ ফেরত আনার পর..

লিবিয়ায় আটকেপড়া ১৬১ বাংলাদেশি নাগরিক নিরাপদে দেশে ফিরেছেন। বাংলাদেশ দূতাবাস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় তাদের ফেরানো হয়েছে। আরও ১৬০ জনকে ২৬ মার্চ ফেরত আনার পরিকল্পনা রয়েছে।

বিস্তারিত প্রতিবেদন: লিবিয়ায় বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আটকে পড়া ১৬১ বাংলাদেশি নাগরিক অবশেষে দেশে ফিরেছেন। বাংলাদেশ দূতাবাস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সম্মিলিত উদ্যোগে এই প্রবাসীদের দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়।

বুধবার (১৯ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টায় আইওএমের সহযোগিতায় লিবিয়ার বুরাক এয়ারের বিশেষ ফ্লাইট (UZ222) বেনিনা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে উড্ডয়ন করে। দীর্ঘ যাত্রার পর বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকাল ৬টা ৩০ মিনিটের দিকে বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, দেশে ফেরা বাংলাদেশিদের মধ্যে অনেকে প্রতারণার শিকার হয়ে মানব পাচারের ফাঁদে পড়েছিলেন। কাজের আশায় লিবিয়ায় গেলেও প্রতিকূল পরিবেশ এবং দালালদের প্রতারণায় বিপদে পড়েন তারা। এরপর বিভিন্ন জটিলতার কারণে তারা দেশে ফিরতে পারছিলেন না। তবে আইওএম এবং বাংলাদেশ সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় তাদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তন সম্ভব হয়েছে।

এদিকে, লিবিয়া থেকে প্রবাসীদের ফেরানোর এই কার্যক্রম এখনও চলছে। আগামী ২৬ মার্চ আরেকটি বিশেষ ফ্লাইটের মাধ্যমে আরও ১৬০ বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছে লিবিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস।

এর আগেও, ১৩ মার্চ একদল বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। সেদিন ভোর ৪টার দিকে বুরাক এয়ারের বিশেষ ফ্লাইটে ১৭৬ জন বাংলাদেশি নিরাপদে দেশে ফেরেন। এভাবে পর্যায়ক্রমে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দালালদের প্রতারণা এবং অনিয়মিত অভিবাসনের কারণে অনেক বাংলাদেশি লিবিয়ায় কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়ছেন। অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, বৈধ উপায়ে বিদেশগমনের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে এবং দালালদের প্রলোভনে পা দেওয়া উচিত নয়।

বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে এবং লিবিয়ায় আটকেপড়া বাংলাদেশিদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।

Ingen kommentarer fundet