দেশ জুড়ে অনলাইনে জুয়া খেলার আসক্তি দিন দিন তীব্র হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঢুকলেই চোখে পড়ে গেম খেলে লাখ লাখ টাকা আয়ের প্রলোভন। দেশে অনলাইন জুয়া সর্বগ্রাসী হয়ে উঠেছে। আর অনলাইন জুয়ার বিভিন্ন চক্রে জড়িয়ে নিঃস্ব হচ্ছে মানুষ। পিছিয়ে নেই সীমান্তবর্তী জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার মানুষও।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অনলাইন জুয়ার প্রকোপ থামাতে পারছে না । মাঝে মধ্যে আটক করলেও আইনের ফাঁকফোকরে সহজেই জামিনে মুক্তি পাচ্ছে । তবে ধোঁয়া ছোঁয়ার বাহিরে ডিলার ও এজেন্টরা।
অনুসন্ধানে এলাকার কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানাগেছে, টানা এক যুগ অন্যের দোকানে বাদল (ছদ্মনাম) কর্মচারী হিসেবে থাকার পর নিজে একটি দোকান দিয়ে অনলাইন ক্যাসিনো খেলে মাত্র ৬ মাসে নিজের টেলিকম প্রতিষ্ঠান, একাধিক গরু, মোটর সাইকেল, নিজের ৫ শতাংশ জমি বিক্রি করেও পাওনা টাকা পরিশোধ করতে না পেরে পালিয়ে এখন চট্টগ্রামে রাজমিস্ত্রীর কাজ করছে ।
একজন শিক্ষক এই জুয়ায় আসক্ত হয়ে সুদের উপর টাকা নিয়ে পাওনাদারের চাপে অনেকটা আত্নগোপনে রয়েছে । এমন অসংখ্য গল্প করেছে। তবে এ উপজেলার ৩/৪ জন ডিলার ও একাধিক এজেন্ট কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছেন ।
অনুসন্ধানে এসব এজেন্ট ও ডিলারের নাম জানা গেলেও প্রভাবশালীর ভয়ে কেউ তথ্য প্রকাশে আগ্রহী না।
সচেতনমহল মনে করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চাইলে ২৪ ঘন্টায় জুয়া বন্ধ করতে পারে। জুয়ার ওয়েবসাইটে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে লেনদেন হয় সেই সূত্র ধরে অভিযান পরিচালনা করাও যেতে পারে। কিন্তু সারাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নীরব ভূমিকা পালন করায় উদ্বিগ্ন সচেতনমহল।