close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

লা শ নিয়ে রাজনীতি বন্ধ করুন: সাম্য হ ত্যা কাণ্ড নিয়ে এনসিপি নেতা শিশিরের তীব্র স মালো চনা..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাম্য হত্যা নিয়ে রাজনৈতিক বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা জয়নাল আবেদীন শিশির। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, "লাশ নিয়ে নোংরা রাজনীতি বন্ধ ..

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী সাম্য হত্যাকাণ্ডে রাজনীতির নোংরা খেলা নিয়ে সম্প্রতি তীব্র সমালোচনা করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব জয়নাল আবেদীন শিশির। তার ফেসবুক পোস্টে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের পদত্যাগের দাবিকে খণ্ডন করে মন্তব্য করেন, "লাশ নিয়ে নোংরা রাজনীতি বন্ধ করুন।"

শিশির তার পোস্টে উল্লেখ করেছেন, "যদি সাম্য হত্যাকাণ্ডের জন্য ভাইস চ্যান্সেলর পদত্যাগ করতে হয়, তবে গত আট মাসে বিএনপির দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ৮০ জন নেতাকর্মী খুনের জন্য ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কেন পদত্যাগ করবেন না?" তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, "নীতিটি যদি নিজেদের ক্ষেত্রেও মানা হতো, তাহলে কেন এই দ্বিচারিতা?"

এছাড়া, তিনি ছাত্রদলের উদ্দেশ্যে বলেন, "মেধাবী সংগঠন ছাত্রদল কী বোঝাতে চাইছে? ভাইস চ্যান্সেলর কি সরাসরি সাম্যকে খুন করেছেন, নাকি তিনি কাউকে দিয়ে খুন করিয়েছেন? এ ধরনের কোনো প্রমাণ কি সামনে এসেছে?"

শিশির স্পষ্টভাবে দাবি করেন, "লাশ নিয়ে নোংরা রাজনীতি বন্ধ করুন।" তিনি সমগ্র দেশের মানুষের কাছে আহ্বান জানান, যে কোনো হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে একসাথে আন্দোলন গড়ে তোলা উচিত, তবে রাজনীতির নামে অপরাধীদের নিরাপদ রাখা যাবে না।

এনসিপি নেতা শিশিরের এই বক্তব্য সাম্য হত্যাকাণ্ডের পরের সময়ে এক নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে, যেখানে রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের স্বার্থে মৃত্যুর ঘটনাকে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সাম্য হত্যার বিচার চেয়ে সারা দেশের বিভিন্ন মহলে এখন সরব আন্দোলন চলছে, যেখানে জনগণের দাবি, হত্যাকারীদের অবিলম্বে শাস্তি দেওয়া হোক।

এমন পরিস্থিতিতে শিশিরের মন্তব্য নতুন করে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার ঝড় তুলে দিয়েছে। তবে তার এই মন্তব্য শুধু সাম্য হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করা নয়, বরং রাজনীতির নোংরা খেলা বন্ধ করার জন্যও এক কঠোর বার্তা ছিল। "জুলাই যোদ্ধা সাম্য হত্যার বিচার চাই", এই দাবিতে সারা দেশে আন্দোলন এবং প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ছে।

রাজনৈতিক খেলার পাশাপাশি সমাজের সচেতন মানুষদেরও এই প্রশ্নটা ভাবিয়ে তুলছে, "কতটা রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য আমরা দেশের শিক্ষার্থীদের জীবনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করব

کوئی تبصرہ نہیں ملا