শুক্রবার, ৩ অক্টোবর ২০২৫ |
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আখলাক হায়দার এবং যুবলীগ নেতা আবু মুসাকে যৌথ অভিযানে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অভিযান পরিচালনা করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), কোতোয়ালি মডেল থানা ও বুড়িচং থানার সমন্বিত চৌকস দল।
অভিযানের নেতৃত্ব দেন বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আজিজুল হক।
গ্রেফতারের পর আসামিদের থানায় হস্তান্তর করা হয়, এবং আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত অব্যাহত রয়েছে, এবং অপরাধ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য তথ্য যাচাই করা হচ্ছে।
আসামিদের পরিচয় ও অভিযোগ:
আখলাক হায়দার
- সাবেক চেয়ারম্যান, বুড়িচং উপজেলা পরিষদ
- সাধারণ সম্পাদক, বুড়িচং উপজেলা আওয়ামী লীগ
- ঠিকানা: সিন্দুরিয়া পাড়া, ময়নামতি ইউনিয়ন
- ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা
- একাধিক ফৌজদারি মামলা
- গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে আত্মগোপনে ছিলেন
আবু মুসা
- যুবলীগ নেতা
- ঠিকানা: আবিদপুর, মোকাম ইউনিয়ন
- অভিযোগ:
- স্থানীয় রাজনৈতিক সহিংসতা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা
- পুলিশের নজরদারিতে ছিলেন দীর্ঘদিন
বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আজিজুল হক বলেন—
“আখলাক হায়দার ও আবু মুসা—উভয়ের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তারা দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।”
এই গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে বুড়িচংয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
একদিকে সাধারণ মানুষ বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে চলা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ প্রশাসনের সাহসী উদ্যোগ।
তাদের মতে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় এমন অভিযান প্রয়োজনীয়।
অন্যদিকে, সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক মহলে আলোচনার ঝড় উঠেছে।
কিছু নেতাকর্মী এই গ্রেফতারকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করছেন, আবার কেউ কেউ বলছেন—
“আইন তার নিজস্ব গতিতে চলুক, অপরাধী যেই হোক, বিচার হওয়া উচিত।”
স্থানীয় পর্যায়ে জনমত বিভক্ত হলেও, প্রশাসনের অবস্থান স্পষ্ট—
অপরাধের বিরুদ্ধে কোনো ছাড় নয়, রাজনৈতিক পরিচয় নয়, অপরাধই মুখ্য।



















