close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

কুমিল্লায় মহাসড়কে ডাকাতির প্রস্তুতি: ডাকাত সর্দার সাদ্দামসহ ৭ জন আটক  ..

এইচ,এম,এ ভূঁইয়া avatar   
এইচ,এম,এ ভূঁইয়া
অভিযানে অস্ত্র ও পিকআপ উদ্ধার, স্থানীয়দের ধন্যবাদ প্রশাসনকে  

কুমিল্লার দাউদকান্দি মডেল থানার ইলিয়টগঞ্জ বাজার এলাকায় মহাসড়কে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের সর্দার মো. সাদ্দাম হোসেনসহ সাতজনকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার রাত ১টা ৫ মিনিটে অভিযান চালানো হয়। প্রায় ১৪–১৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল একটি রেজিস্ট্রেশনবিহীন নীল-হলুদ রঙের পিকআপে করে মহাসড়কে ডাকাতির পরিকল্পনা করছিল। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালানোর চেষ্টা করে। এসময় সাতজনকে আটক করা হয়, তবে আরও সাত-আটজন পালিয়ে যায়।  

গ্রেফতারকৃতরা হলেন—মো. সাদ্দাম হোসেন (৩২), গ্রাম টামটা, দাউদকান্দি, কুমিল্লা; মো. সুমন (৩০), গ্রাম আলেখারচর, কোতয়ালী মডেল, কুমিল্লা; মো. দুলাল মিয়া (২৮), বুড়িচং, কুমিল্লা; মো. সোলেমান রুবেল (৩৫), গ্রাম রামপুর, ফেনী সদর; ফকির আহমেদ আলাউদ্দিন (৫৫), গ্রাম রামেশ্বরপুর, কবিরহাট, নোয়াখালী; মামুনুর রশিদ সোহাগ (৩৫), গ্রাম চর আবাবিল, রায়পুর, লক্ষীপুর; এবং মো. শাহীন (২৫), গ্রাম বজলু বাজার, চরফেশন, ভোলা।  

তাদের কাছ থেকে একটি রেজিস্ট্রেশনবিহীন পুরাতন পিকআপ ভ্যান, দেশীয় তৈরি এলজি পাইপগান, দুই রাউন্ড বার বোর কার্তুজ, লোহার কাটার, হাইড্রোলিক কাটার, ধামা, ছেনি, দা ও ছুরি উদ্ধার করা হয়। উল্লেখযোগ্যভাবে, সাদ্দাম হোসেনের নিজ বসতঘরের দরজার পাশে মাটির নিচ থেকে অস্ত্র ও কার্তুজ পাওয়া যায়।  

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে পূর্বে একাধিক মামলা রয়েছে। সাদ্দামের বিরুদ্ধে ফেনী ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় ৬টি মামলা, সুমনের বিরুদ্ধে নোয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহে ৭টি মামলা, সোলেমান রুবেলের বিরুদ্ধে নোয়াখালীতে ৫টি মামলা, ফকির আহমেদের বিরুদ্ধে গাজীপুর, কুমিল্লা, ফেনী ও চট্টগ্রামে ৬টি মামলা এবং মামুনুর রশিদ সোহাগের বিরুদ্ধে নোয়াখালী, চাঁদপুর ও লক্ষীপুরে ৮টি মামলা রয়েছে।  

কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, “এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে মহাসড়কে ডাকাতি করে আসছিল। সাদ্দামকে আমরা মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত করেছি। তার ঘর থেকেই অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”  

ঘটনার পর গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

এলাকার সাধারণ মানুষ এই অভিযানে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছে এবং আইনের শাসন বাস্তবায়নে পুলিশের ভূমিকা স্বাগত জানিয়েছে।  

Nenhum comentário encontrado


News Card Generator