close
কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!
কুয়েটে চরম সিদ্ধান্ত: ছাত্ররাজনীতি চিরতরে নিষিদ্ধ, আজীবন বহিষ্কারসহ শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত!


খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ফের উত্তাল! শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও সংঘর্ষের জেরে কুয়েট প্রশাসন শিক্ষার্থী রাজনীতি স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। একইসঙ্গে শিক্ষা কার্যক্রমও স্থগিত করা হয়েছে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। কোনো ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রমে জড়িত শিক্ষার্থীদের আজীবন বহিষ্কারের সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছে।
সিন্ডিকেটের জরুরি সিদ্ধান্ত:
গতকাল বুধবার অনুষ্ঠিত ৯৮তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় কুয়েট প্রশাসন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়।
ছাত্ররাজনীতি স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ।
রাজনীতিতে জড়িতদের আজীবন বহিষ্কার।
২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত।
শিক্ষার্থীদের হলত্যাগের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা নেই।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০৩-এর ধারা ৪৪(৫) অনুসারে, কোনো শিক্ষক, কর্মকর্তা বা কর্মচারী রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত হলে তার বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তদন্ত ও মামলা:
কুয়েটের সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় ৪০০-৫০০ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলাটি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের খানজাহান আলী থানায় করা হয়। তবে বাদীর নাম গোপন রাখা হয়েছে নিরাপত্তার স্বার্থে।
ঘটনার তদন্তে ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সভাপতি: ড. এম এম এ হাসেম
সদস্যসচিব: শাহ মুহাম্মদ আজমত উল্লাহ
অন্যান্য সদস্য: ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ ও ড. আবু জাকির মোর্শেদ
তারা আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবেন।
২৪ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থেকে মুক্ত ভিসি:
প্রায় ২৪ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর কুয়েটের ভিসি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাছুদ মুক্ত হন। মঙ্গলবার বিকেলে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় তিনি আহত হলে কুয়েট মেডিক্যাল সেন্টারে আশ্রয় নেন। সেখানেই তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। বুধবার বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে তিনি মুক্ত হন।
রাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে:
কুয়েটের ঘটনার জেরে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
বিএনপি ও ছাত্রদল হামলার জন্য ছাত্রশিবির ও ছাত্রলীগকে দায়ী করেছে।
ছাত্রশিবির পাল্টা বিবৃতিতে এ অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রদলকেই হামলাকারী হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
বিএনপির বিবৃতিতে হামলার তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে।
ছাত্রদল দাবি করেছে, কুয়েটে তাদের কোনো কমিটি নেই, শুধুমাত্র সমর্থকরা হামলার শিকার হয়েছেন।
মানববন্ধন ও চার দফা দাবি:
ঢাকায় বৈষম্যবিরোধী প্রকৌশলী পরিষদ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে চার দফা দাবি জানিয়েছে—
৭২ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার।
আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ।
ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত কার্যকরে আইনি পদক্ষেপ।
ক্যাম্পাসে নিরাপদ শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করা।
ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি:
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, প্রশাসনের কঠোর সিদ্ধান্ত ও রাজনৈতিক বিতর্কের ফলে কুয়েট ক্যাম্পাসে এখন উত্তেজনা বিরাজ করছে। অনেক শিক্ষার্থী হল ত্যাগ করছেন।
কুয়েটের ভবিষ্যত কোন দিকে মোড় নেবে? ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত কি স্থায়ী হবে? সব খবরের জন্য চোখ রাখুন আমাদের সাইটে!
Ingen kommentarer fundet