close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

ক্ষে'প'ণা'স্ত্র ধ্বং'সে র মহড়ায় নেমেছে ভারত

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
সংক্ষিপ্ত বিবরণ: ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক চরম উত্তেজনার মধ্যে ঢুকেছে। ভারতের নৌবাহিনী সফলভাবে ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসের মহড়া চালিয়েছে, যেটি ভারতীয় বাহিনীর যুদ্ধের প্রস্তুতি..

ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে। কাশ্মীরের এই ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে নতুন করে সামরিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এতে ভারতীয় নৌবাহিনী একটি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস মহড়ার আয়োজন করেছে। মহড়াটি ভারতের নৌবাহিনীর যুদ্ধে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের নৌবাহিনী তাদের মহড়া পরিচালনা করেছে যাতে ‘দূরপাল্লার নির্ভুল লক্ষ্যবস্তুতে হামলার জন্য প্ল্যাটফর্ম, সিস্টেম এবং ক্রুদের প্রস্তুতি যাচাই করা হয়।’ তবে, কোথায় এই মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। এক অফিসিয়াল বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "ভারতীয় নৌবাহিনী দেশের স্বার্থ রক্ষায় যে কোনো স্থানে, যে কোনো উপায়ে, এবং যে কোনো সময় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত।"

ভারতীয় নৌবাহিনী আরও জানিয়েছে, তারা যুদ্ধজাহাজগুলোর মাধ্যমে জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসের মহড়া চালিয়েছে এবং সেটি ছিল তাদের দীর্ঘপাল্লার অস্ত্র ব্যবস্থার সক্ষমতার পরীক্ষাও। এই মহড়ার মাধ্যমে ভারতীয় বাহিনী তাদের সামরিক শক্তি প্রদর্শন করেছে এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য যে কোনো পরিস্থিতিতে প্রস্তুত থাকার বার্তা দিয়েছে।

এদিকে, আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে হামলার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২২ এপ্রিলের পর থেকে এক ডজনেরও বেশি বিশ্বনেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। যদিও এসব যোগাযোগের উদ্দেশ্য শান্তি আনা, তবে ভারতীয় কূটনীতিকদের মতে এটি মূলত সামরিক প্রতিক্রিয়া তৈরির প্রস্তুতি।

নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, মোদি সম্প্রতি এক ভাষণে "সন্ত্রাসের আস্তানা ধ্বংসের" হুমকি দিয়েছেন, যদিও তিনি সরাসরি পাকিস্তানের নাম নেননি। মোদির এ বক্তব্য পাকিস্তানকে এক নতুন সংকেত দিয়েছে, যার ফলে সীমান্তে উত্তেজনা আরো বেড়ে গেছে। ভারতীয় বাহিনী কাশ্মীরে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে এবং হামলার সাথে জড়িত সন্দেহভাজনদের খুঁজে বের করার জন্য শত শত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে।

এই পরিস্থিতির মধ্যেই পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, "যদি পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়, আমাদের থামাতে কেউ পারবে না।" তিনি আরও জানান, যদি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উত্তেজনা বাড়ানোর পথ বেছে নেন, তাহলে তারা তাকে "তার বাড়ি পর্যন্ত ধাওয়া" করবেন।

এই ঘটনাগুলি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের মধ্যে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে, যেখানে সীমান্তে যুদ্ধের শঙ্কা এখন বাস্তব হয়ে উঠেছে। দুই দেশের মধ্যে এই উত্তেজনা, যা কয়েক দশকের পুরনো, এখন একটি নতুন যুদ্ধের মতো বাঁক নিতে পারে।

শেষাংশ: এখন যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তাতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধের সম্ভাবনা দিন দিন বাড়ছে। একদিকে ভারতীয় নৌবাহিনী সামরিক প্রস্তুতি নিচ্ছে, অন্যদিকে পাকিস্তানও যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। দুই দেশের সরকারগুলো যদি নিজেদের কঠোর অবস্থান বজায় রাখে, তাহলে সীমান্তে সংঘাত এড়ানো সম্ভব নাও হতে পারে।

এই উত্তেজনা সম্পূর্ণ দক্ষিণ এশিয়ার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সংকেত, যেখানে পরিস্থিতি যেকোনো মুহূর্তে বিপদজনক হয়ে উঠতে পারে।

لم يتم العثور على تعليقات