সময় গড়িয়ে গেছে অনেকটা—প্রায় ১১ বছর। ২০১৪ সালের পর আর অনুষ্ঠিত হয়নি ক্লাব পর্যায়ের বহুল আলোচিত ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়নস লিগ টি–টোয়েন্টি (CLT20)। সর্বশেষ আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংস।
এই আসরটি যৌথভাবে আয়োজন করত ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই), ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) এবং ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা (সিএসএ)। তবে স্টেডিয়ামে দর্শক খরা, ক্রিকেটপ্রেমীদের আগ্রহের অভাব ও পৃষ্ঠপোষকদের অনীহার কারণে ২০১৪ সালের পর টুর্নামেন্টটি বন্ধ হয়ে যায়।
তবে প্রায় এক যুগ পর আবারও আলোচনায় এসেছে ক্লাব ক্রিকেটের বিশ্ব আসর। এবার এটি ফিরতে পারে নতুন নামে—বিশ্ব ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ হিসেবে। ক্রিকেট–বিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) প্রধান নির্বাহী রিচার্ড গুল্ড জানিয়েছেন, “এটা আমাদের পরিকল্পনার মধ্যেই আছে। নিঃসন্দেহে কোনো এক সময়ে পুরুষ ও নারীদের জন্য একটি বিশ্ব ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করা হবে। এটাই পরবর্তী যৌক্তিক পদক্ষেপ।”
২০০৮ সালে আইপিএলের যাত্রা শুরুর পর বিশ্ব ক্রিকেটে শুরু হয় ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের নবযুগ। এরপরই ২০০৯ সালে শুরু হয় চ্যাম্পিয়নস লিগ টি–টোয়েন্টি। উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের মতো এখানেও বিভিন্ন দেশের সেরা ক্লাবগুলো অংশগ্রহণ করত। ভারতের আইপিএল থেকে ন্যূনতম তিনটি (সর্বোচ্চ চারটি) দল অংশ নেওয়ার সুযোগ পেত।
তবে আইপিএলের মতো জনপ্রিয়তা পায়নি এই টুর্নামেন্ট। মাত্র ছয় আসরেই শেষ হয় যাত্রা (২০০৯–২০১৪)। রিচার্ড গুল্ডের মতে, “এই টুর্নামেন্ট সময়ের অনেক আগেই শুরু হয়েছিল। বাণিজ্যিকভাবে প্রত্যাশা অনুযায়ী সাড়া পায়নি, যদিও এটি একটি ভালো আয়োজন ছিল।”
ইতোমধ্যে ফুটবলের ক্লাব বিশ্বকাপ চলতি মাসেই যুক্তরাষ্ট্রে ৩২ দল নিয়ে শুরু হচ্ছে। ২০২৮ সাল থেকে রাগবির ক্লাব বিশ্বকাপও চালু হচ্ছে। এসব ক্রীড়া থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ক্রিকেটেও ক্লাব পর্যায়ে বৈশ্বিক আসর আয়োজনের ভাবনা সামনে এসেছে।
এই নতুন আসরে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) কোনো দলকেও দেখা যেতে পারে। তবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে—উপযুক্ত সময় বের করা, কারণ বছরজুড়েই আন্তর্জাতিক সিরিজ ও ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে ব্যস্ত থাকেন ক্রিকেটাররা।



















