কোরবানির আগে মসলার বাজারে স্বস্তি, দাম নিয়ন্ত্রণে
মো: তানজিম হোসাইন
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠেছে মসলার বাজার। পশু কেনার পাশাপাশি ক্রেতারা ছুটছেন মসলার দোকানেও। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার মসলার বাজারে বিরাজ করছে স্বস্তিদায়ক পরিবেশ। কোরবানির মাত্র তিনদিন আগে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ মসলার দাম রয়েছে স্থিতিশীল বা নিম্নমুখী।
ক্রেতারা বলছেন, অতীতে ঈদের সময় মসলার চাহিদা বাড়িয়ে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিত। এবার সে চিত্র পাল্টেছে। কাজীর দেউরি বাজারে কেনাকাটায় ব্যস্ত আসিফুল ইসলাম জানান, “এবার মসলার বাজার অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে, যা আমাদের জন্য স্বস্তির।”
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দেশি শুকনো মরিচ ১২০–১৮০ টাকা, ভারতীয় মরিচ ২৫০ টাকা, হলুদ ১৯০–২৩০ টাকা, ভারতীয় জিরা ৩৬০–৬৬০ টাকা, লবঙ্গ ১,২২০–১,২৫০ টাকা, গোলমরিচ ১,১৪০ টাকা, এলাচ ৪,২০০–৪,৬০০ টাকা ও দারচিনি ৩৭০–৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এমন নিয়ন্ত্রিত বাজারের পেছনে রয়েছে পর্যাপ্ত আমদানি। চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র জানায়, গত ১০ মাসে দেশে মশলা আমদানি হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার টন। এর মধ্যে রসুন, আদা, পেঁয়াজ, হলুদ, এলাচ, লবঙ্গ, জিরাসহ প্রায় সব প্রয়োজনীয় পণ্যই রয়েছে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সময়মতো আমদানি এবং বাজার নজরদারি থাকলে ঈদ কিংবা মৌসুমকে কেন্দ্র করে কোনো সিন্ডিকেট বাজার অস্থির করতে পারবে না। এবার তারই প্রমাণ মিলেছে।