নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোড়ন তুলেছেন উপজেলার সাবেক বিএনপি সভাপতি আব্দুল হাই সেলিম। রাগ ও ক্ষোভ ভুলে তিনি রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন। গত ১৫ জুন তিনি ঢাকায় থেকে নিজ এলাকায় ফিরলে দলীয় নেতাকর্মীদের উচ্ছ্বসিত অভ্যর্থনা পান। শতাধিক নেতা-কর্মী ফুলেল শুভেচ্ছায় তাকে বরণ করে নেন।
আই নিজ কে আব্দুল হাই সেলিম বলেন, “রাগ-ক্ষোভ পিছনে ফেলে আমি রাজনীতির মাঠে ফিরেছি। এলাকার উন্নয়ন এবং দলের স্বার্থে কাজ করাই এখন আমার একমাত্র লক্ষ্য।”
তিনি আরও বলেন, “প্রয়াত ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ ছিলেন এই অঞ্চলের গর্ব। তাঁর অবদান আমরা কখনোই অস্বীকার করতে পারি না। তাঁর সহধর্মিণীর হাত ধরে কোম্পানীগঞ্জে বহু উন্নয়ন হয়েছে, যেটি অস্বীকার করার উপায় নেই।”
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্যারিস্টার মওদুদের পরিবারের পাশে থাকার অঙ্গীকারও করেন তিনি। আবেগভরা কণ্ঠে তিনি বলেন, “আমরা তাকে চাই, আমরা তার পাশে আছি এবং থাকবো। ঐক্যবদ্ধভাবে সামনে এগোতে হবে।”
নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সেলিম বলেন, “আপনারা মাঠে থাকুন, আমি আপনাদের পাশে আছি। ইনশাআল্লাহ আমরা সবাই মিলে বিএনপিকে কোম্পানীগঞ্জে আরও শক্তিশালী করবো।”
এই কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন—মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া, নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য মো. রফিক উল্যাহ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মনজুরুল হক বাবর, উপজেলা কৃষক দলের সাবেক সভাপতি বোরহান উদ্দিন খোকন, শ্রমিক নেতা বেলালসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দল ও ছাত্রদলের অসংখ্য সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীরা।
আব্দুল হাই সেলিমের এই প্রত্যাবর্তন কোম্পানীগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন জোয়ার সৃষ্টি করবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।