close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

কক্সবাজারে ভুয়া সংবাদ প্রকাশে জেলা বিএনপির তীব্র ক্ষোভ!

Abir Hossain Sun avatar   
Abir Hossain Sun
রিপোর্টার: মো:আবির (কক্সবাজার)

কক্সবাজারে ভুয়া সংবাদ প্রকাশে জেলা বিএনপির তীব্র ক্ষোভ!

রিপোর্টার: আবির হোসেন সান (কক্সবাজার)

সম্প্রতি কক্সবাজার জেলা বিএনপির সম্মানিত নেতৃবৃন্দকে নিয়ে একটি ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে একটি ইউটিউব ভিত্তিক চ্যানেল ‘অগ্রযাত্রা’। প্রকাশিত সেই প্রতিবেদনে জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী, টেকনাফ পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এনামুল হাসান, তৌকিরসহ আরও কয়েকজন নেতার নাম ও পরিচয় বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়।

এই ভুয়া প্রতিবেদনকে ঘিরে কক্সবাজার জেলা বিএনপিতে চরম ক্ষোভ ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। নেতৃবৃন্দের অভিযোগ, উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে।

কাউন্সিলর এনামুল হাসানের প্রতিক্রিয়া

প্রতিবেদনে যেভাবে তাকে আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে, সে বিষয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনামুল হাসান।

তিনি বলেন:

> “গত পনেরো বছর ধরে আমি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করেছি, দলের দুঃসময়ে রাজপথে থেকেছি। অথচ আজ আমাকে বানিয়ে দেওয়া হলো আওয়ামী লীগের লোক! এটা শুধু মিথ্যাচার নয়, আমার ব্যক্তি মর্যাদা ও রাজনৈতিক পরিচয়ে সরাসরি আঘাত।”

 

তিনি আরও বলেন,

> “আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। যারা এই ভুয়া প্রতিবেদন তৈরি করে তা প্রকাশ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।”

 

বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের উদ্বেগ

জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ ধরনের মিথ্যা ও সাজানো প্রতিবেদন রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ, যার উদ্দেশ্য হলো দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি এবং জনমনে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করা।

নেতারা বলেন,

> “এই ধরণের সংবাদ সাংবাদিকতার ন্যূনতম নীতিমালাকেও উপেক্ষা করেছে। ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে রাজনৈতিকভাবে কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করাকে কখনোই গণতান্ত্রিক সমাজ মেনে নিতে পারে না।”

 

চ্যানেলটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা দাবি

স্থানীয় বিএনপি ও ভুক্তভোগীরা দাবি করেছেন, অগ্রযাত্রা নামক চ্যানেলটি কারা চালায় এবং কারা এর পেছনে রয়েছে তা তদন্ত করে বের করা হোক। সেই সঙ্গে এই মিথ্যাচারের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানানো হয়েছে।

Inga kommentarer hittades