close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

খুলনার মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে , আন্দোলনকারী

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
খুলনায় সন্ত্রাস, মাদক ও পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযোগে উত্তাল ছাত্র-জনতা। কেএমপি কমিশনারের পদত্যাগ দাবিতে প্রেস ক্লাব ঘেরাও। আন্দোলনকারীরা বলছেন—খুলনা এখন এক অভয়ারণ্য!..

খুলনা মহানগরজুড়ে চাপা উত্তেজনা আর অস্থিরতা—কেন্দ্রে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দারের পদত্যাগ দাবি। শনিবার (২৮ জুন) রাতে শহরের প্রাণকেন্দ্রে খুলনা প্রেস ক্লাবের সামনে ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলন তুঙ্গে ওঠে।

গণমাধ্যমে সংবাদ ছড়ায়, প্রেস ক্লাবের ভেতরে থাকা প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব মো. শফিকুল আলম অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। তবে আন্দোলনকারীরা জানান, তারা প্রেসসচিবকে অবরুদ্ধ করেননি বরং জনগণের ক্ষোভ, নিরাপত্তাহীনতা ও অভিযোগের কথা তাকে জানানোর জন্য প্রেস ক্লাবের সামনের সড়ক অবরোধ করেন।

আন্দোলনের মুখপাত্র বাপ্পির ভাষায়, খুলনার মানুষ আজ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, মাদক—এসব এখন সাধারণ মানুষের গলার কাঁটা। খুলনা পরিণত হয়েছে দুর্নীতিবাজ পুলিশ ও রাজনৈতিক নেতাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে। আর তাদের রক্ষাকর্তা হয়ে উঠেছেন কেএমপি কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার।

তিনি আরও বলেন, “আমরা এখানে এসেছি বাধ্য হয়ে। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। প্রেসসচিব মহোদয়কে বলেছি, আপনারা যদি ব্যবস্থা নেন, আমরা তা মিডিয়ায় তুলে ধরব না। আমরা চাই একটা শান্তিপূর্ণ সমাধান।

বাপ্পি জানান, আন্দোলনে অন্তত ২০০ জন সংগঠক নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাদের ভাষায়, “এই আন্দোলন কোনো ব্যক্তিকেন্দ্রিক নয়, এটি জনগণের স্বার্থে। আমি-আপনি চলে গেলেও আন্দোলন চলবে।”

প্রেসসচিব মো. শফিকুল আলম আশ্বাস দিয়েছেন, আজকের (রবিবার) মধ্যেই প্রধান উপদেষ্টাকে বিষয়টি জানাবেন এবং একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান নিয়ে আসবেন। আন্দোলনকারীরা এখন তার প্রতিশ্রুত ফলাফলের অপেক্ষায়।

এদিকে আন্দোলনের পেছনে যে কারণটি সবচেয়ে বেশি ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে তা হলো এসআই সুকান্ত দাসের ঘটনার পরবর্তী পদক্ষেপ। গত মঙ্গলবার খুলনার খানজাহান আলী থানা এলাকায় স্থানীয় জনতা তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিলেও, তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় বিনা বিচারে। অথচ তার বিরুদ্ধে ছাত্রদের ওপর হামলা ও বিএনপি নেতা শফিকুল আলম মনার বাড়িতে হামলার অভিযোগে দুটি মামলা রয়েছে।

এসআই সুকান্তকে ছেড়ে দেওয়ার প্রতিবাদেই ছাত্র-জনতার মধ্যে চরম অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে এবং এরপরই কেএমপি কমিশনারের বিরুদ্ধে সরব হয় আন্দোলনকারীরা।

এই পুরো ঘটনার মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়ে উঠছে—খুলনার সাধারণ জনগণ আর মুখ বুজে সহ্য করতে রাজি নয়। সুশাসন, ন্যায়বিচার ও নিরাপদ নগর জীবনের দাবি এখন রাজপথে।

এখন দেখার বিষয়, সরকার ও প্রশাসন কতটা দ্রুত এই সংকটের সমাধান করতে সক্ষম হয়। কারণ, জনগণের আস্থা হারালে ফিরে পাওয়া কঠিন—আর খুলনার রাজপথ এখন সেই স্পষ্ট বার্তাই দিয়ে যাচ্ছে।

לא נמצאו הערות