close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

খিলগাঁও ফ্লাইওভারে বাসের ধাক্কায় এসআই কামরুল ইসলাম নিহত, চালক গ্রেপ্তার..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
রাজধানীর খিলগাঁও ফ্লাইওভারে চলন্ত বাসের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন এসআই কামরুল ইসলাম। কর্মস্থলে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি। ঘাতক বাসচালক গ্রেপ্তার, মামলা প্রক্রিয়াধীন।..

রাজধানীর ব্যস্ত সড়কে আবারও ঝরে গেল এক পুলিশ সদস্যের প্রাণ। সোমবার (২ জুন) রাতে খিলগাঁও ফ্লাইওভারের ঢালে বলাকা পরিবহনের একটি চলন্ত বাসের ধাক্কায় নিহত হয়েছেন উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুল ইসলাম। দুর্ঘটনার সময় তিনি কর্মস্থল মতিঝিল থানায় যাচ্ছিলেন।

নিহত এসআই কামরুল ইসলাম ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মতিঝিল থানায় কর্মরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার সদর উপজেলায় হলেও তিনি পরিবার নিয়ে রাজধানীর খিলগাঁওয়ের বাসাবো এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।

দুর্ঘটনাটি ঘটে সোমবার রাত আনুমানিক ৮টা ১০ মিনিটে, খিলগাঁওয়ের খলিলের গোশতের দোকানের বিপরীত পাশে, ফ্লাইওভারের ঢালে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এসআই কামরুল মোটরসাইকেলযোগে বাসা থেকে কর্মস্থলের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় বলাকা পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়।

স্থানীয়রা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় কামরুল ইসলামকে উদ্ধার করে নিকটস্থ ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে চিকিৎসকরা রাত ৯টা ৩০ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এই মর্মান্তিক ঘটনার পর পুরো এলাকাজুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া। সহকর্মী ও প্রতিবেশীরা জানান, এসআই কামরুল একজন সৎ, দায়িত্বশীল এবং মানবিক পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন। তার এমন অকাল মৃত্যুতে সহকর্মী মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

এ বিষয়ে শাহজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, দুর্ঘটনার পর বলাকা পরিবহনের বাসটিকে জব্দ করা হয়েছে এবং চালক জাহাঙ্গীর আহমেদ টিপুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

নিহত এসআই কামরুল ইসলামের মরদেহ বর্তমানে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এদিকে, রাজধানীতে চলন্ত যানবাহনের বেপরোয়া গতি ও নিয়ন্ত্রণহীন পরিবহন ব্যবস্থার কারণে একের পর এক প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পর্যন্ত নিরাপদ নন – এসআই কামরুল ইসলামের মৃত্যু সেটিরই বাস্তব উদাহরণ।

দ্রুত বিচার এবং কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে পুলিশ মহলসহ সাধারণ মানুষ। অনেকে মনে করছেন, রাজধানীর পরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফেরাতে না পারলে এমন করুণ দৃশ্য আরও বাড়বে।

এ বিষয়ে পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, চালকদের প্রশিক্ষণ এবং জবাবদিহিতার ব্যবস্থা না থাকলে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির ঝুঁকি থেকেই যাবে।

এখন অপেক্ষা শুধুই ন্যায়বিচারের।

کوئی تبصرہ نہیں ملا