close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

কেরাণীগঞ্জ থেকে কুদ্দুস মোল্লা হত্যা মামলার আসামি দবির মাতুব্বর গ্রেফতার..

ইস্পাহানী ইমরান avatar   
ইস্পাহানী ইমরান
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় চাঞ্চল্যকর কুদ্দুস মোল্লা হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি দবির উদ্দিন মাতুব্বর (৬৫)শনিবার (১৭ মে) সকালে কেরাণীগঞ্জ থানাধীন দরিগাঁও এলাকায় র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার।..

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় চাঞ্চল্যকর কুদ্দুস মোল্লা হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি দবির উদ্দিন মাতুব্বর (৬৫) অবশেষে র‌্যাব-১০ এর হাতে ধরা পড়েছেন। শনিবার (১৭ মে) সকালে রাজধানীর কেরাণীগঞ্জ থানাধীন দরিগাঁও এলাকায় র‌্যাবের একটি বিশেষ অভিযানে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

র‌্যাব-১০ জানায়, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোপন সংবাদের পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। গ্রেফতারকৃত দবির উদ্দিন মাতুব্বর ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার মক্রমপট্টি গ্রামের বাসিন্দা।

উল্লেখ্য, গত ৪ মে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভিকটিম আব্দুল কুদ্দুস মোল্লা (৫৫) মসজিদে এশার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে মক্রমপট্টি পশ্চিমপাড়া এলাকায় তিন রাস্তার মোড়ে হামলার শিকার হন। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আসামি দবির মাতুব্বর ও তার সহযোগীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুদ্দুস মোল্লার গলায় কুপিয়ে ও এলোপাথাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। ভিকটিমের চিৎকারে তার ভাই ফিদু (৪৮) ও স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে হামলাকারীরা তাদের উপরও হামলা চালায়।

এছাড়া, হামলাকারীরা ভিকটিমের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এতে প্রায় ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা নগদ অর্থ, ৭ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুটে নেয় এবং প্রায় ২ লাখ টাকার সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় ভিকটিমদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুল কুদ্দুস মোল্লাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার পরদিন নিহতের ভাই ফিদু বাদী হয়ে ভাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-০৮, তারিখ: ০৫/০৫/২০২৫)। মামলা রুজু হয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায়, যার মধ্যে রয়েছে ৩০২, ৩০৭, ৩২৬, ৩৮০, ৫০৬(২) সহ আরও কয়েকটি গুরুতর অভিযোগ।

গ্রেফতারের পর দবির মাতুব্বরকে ভাঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে র‌্যাব জানিয়েছে।

No se encontraron comentarios


News Card Generator