পরে মঙ্গলবার রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তার ফেজবুক পোস্টে উল্লেখ করেছেন ''নূরেছা দুখিয়ারগাতী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা নিয়ে পাঁচ সদস্যবিশষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটি আগামীকাল প্রতিবেদন দাখিল করবেন। তদন্ত সম্পন্ন হওয়ার আগ পর্যন্ত সকলকে ধৈর্য্য ধারণের জন্য বিনীত অনুরোধ করা হল''।
স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, নূরেছা দুখিয়ারগাতী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাইকুল ইসলাম (চান মিয়া) ৫ মে রাত আনুমানিক ৯টার দিকে একই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির চারজন ছাত্রীকে স্কুল কক্ষে ডেকে এনে আসন্ন সমাপনী পরীক্ষার প্রশ্নের ধরন নিয়ে আলোচনা করছিলেন। পড়াশোনার এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী অমনোযোগী হলে শিক্ষক সাইকুল ইসলাম তাকে থাপ্পড় দেন। এতে মেয়েটি কান্নাকাটি করে বাড়িতে গিয়ে বিচার দিলে মুহূর্তেই ভুক্তভোগীর মামা সহ স্বজনেরা ছুটে এসে শিক্ষকের ওপর চড়াও হন। শিক্ষককের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তোলেন।
স্থানীয়ভাবে আরো জানাযায়, শিক্ষক সাইফুল ইসলাম এ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও জমিদাতা। তার স্ত্রীও এই স্কুলে শিক্ষকতা করেন। এলাকায় শিক্ষানুরাগী হিসেবে তার যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। তাছাড়া তিনি সবসময় পরীক্ষার আগে দূর্বল শিক্ষার্থীদের আলাদা করে সাজেশন দিয়ে থাকেন যাতে করে তারা ভালো রেজাল্টের করতে পারে। আর এইবার ঘটল অন্যঘটনা। আমরা এলাকাবাসী দাবী করছি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আসল ঘটনা উদঘাটন হোক।
এ ঘটনা নিয়ে (৫ মে) রাতেই কেন্দুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দুপুরে স্কুল পরিদর্শনে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও এবং পুলিশ প্রশাসন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক সাইকুল ইসলাম (চান মিয়া) বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে ভুক্তভোগীর পরিবারের লোকজন পরিকল্পিতভাবে আমার বিরুদ্ধে এসব,ন্যাক্কারজনক অভিযোগ করছে যা অন্য সম্পূর্ণ মিথ্যা।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) ইমদাদুল হক তালুকদার জানান, নুরেছা দুখেরগাতী প্রাইমারি স্কুলে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বুধবার (৭ মে) মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবে।