রবিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে মাদরাসা প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা, সুপারের ওপর হামলার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান এবং অবিলম্বে ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচার দাবি করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মাদরাসার পার্শ্ববর্তী জেলার সদর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের তেতুলিয়া গ্রামের সৈয়দা জান্নাতুল ফেরদৌস নামে এক দাখিল পরীক্ষার্থীর ফরম পূরণের বকেয়া ১ হাজার ৪০০ টাকা চাওয়ার ঘটনার জের গত ১৬ এপ্রিল সকালে ওই পরীক্ষার্থীর গোষ্ঠীর লোকজন অতর্কিতভাবে মাদরাসা গিয়ে হামলা করে।
এ সময় মাদরাসা সুপার একটি কক্ষে লুকিয়ে আত্মগোপন করলেও বাইরে থাকা সুপারের মোটরসাইকেলটি ভাংচুর করে হামলাকারীরা। পরে এ ঘটনায় সুপার বাদী হয়ে ছয়জনের বিরুদ্ধে কেন্দুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এদিকে ঘটনার প্রতিবাদ ও ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচার দাবিতে আজ রবিবার মানববন্ধন করে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা।
মাদরাসা সুপার আবু সায়িদ মোহাম্মদ হারিছ উদ্দীন বলেন, ওই পরীক্ষার্থীর ফরম পূরণের ২ হাজার ৪০০ টাকার মধ্যে তার দাদা সৈয়দ আব্দুল হক ১ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। পরে বকেয়া ১ হাজার ৪০০ টাকা তার কাছে চাইলে তিনি আর দিতে পারবেন না বলে জানান। এ সময় আমি নিজে ১০০ টাকা তাকে দিয়ে অন্যদের কাছ থেকে সহযোগিতা নিয়ে বকেয়া পরিশোধ করার কথা বললে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে চলে যান। পরে একপর্যায়ে তাদের লোকজন মাদরাসায় এসে আমার ওপর হামলা করে। তখন আমি লুকিয়ে গেলে তারা আমার মোটরসাইকেলটি ভাংচুর করে এবং অকথ্য ভাষায় আমাকে গালিগালাজ করে। বর্তমানে আমি এবং আমার মাদরাসার শিক্ষক, কর্মচারীরা নিরাপত্তাহীনতায় আছি।
শিক্ষার্থী সৈয়দা জান্নাতুল ফেরদৌসের দাদা সৈয়দ আব্দুল হক বলেন, আমাদের জায়গায় মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠিত। অথচ সুপারের কাছে আমরা কোনো মূল্যায়ন পাই না। বাপ-মা মরা আমার অসহায় নাতিটিকে আমিই লালন পালন করে আসছি। তার ফরম পূরণের ২ হাজার ৪০০ মধ্যে কষ্ট করে আমি ১ হাজার টাকা দিয়ে আর দিতে পারব না বললে, সুপার আমাকে ভিক্ষা করে হলেও বকেয়া টাকা পরিশোধ করতে বলেন। তার এমন কথায় আমি এবং আমার গোষ্ঠীর লোকজন খুবই কষ্ট পায় এবং কয়েকজন মাদরাসায় গিয়ে সুপারকে বকাবকি করে। তবে কোনো হামলা বা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেনি।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় মাদরাসা সুপার বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। ঘটনাটির তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।