কবিতার নাম: “লালমনির আলো”
✍️ লেখক: ফাহিম খাঁন হৃদয়
লাল সবুজে গাঁথা মোদের প্রাণের জায়গা,
লালমনিরহাট নামটি বাজে গর্বে নিঃসঙ্গ নয় কোথা।
তিস্তার জলে আঁকা স্বপ্ন, কৃষকের হাসি ছুঁয়েছে,
সিঞ্চনে মুগ্ধ তিস্তা ব্যারাজ, জীবন যেখানে বয়ে চলে।
রেলওয়ে স্টেশনে বাজে স্মৃতির পুরোনো বাঁশি,
ট্রেনের ছুটে চলা যেন শত গল্পের রাশি।
সড়ক সেতু, রেল সেতু — একে অপরের কাঁধে,
যোগাযোগের বন্ধন গড়েছে প্রাণের সাধে।
লালমনির হারানো মসজিদ — ৬৯ হিজরীর ডাক,
ইতিহাসে মিশে থাকা এক প্রাচীন ধর্মের পাখ।
বিমানবন্দর, আকাশপথ — এশিয়ার এক বিস্ময়,
স্বপ্নের ডানা মেলে ওড়ে প্রতিদিন নিরন্তর জয়।
তিনবিঘা করিডোর আর দহগ্রাম,
বাঙালির আত্মায় মিশে থাকা সীমান্ত-বেদনার নাম।
আঙ্গরপোতা, ছিটমহল, সিন্দুরমতির কাহিনী,
মাটির গন্ধে লেখা থাকে শত ইতিহাসের যবনী।
কাকিনার জমিদার বাড়ি, রাজত্বের এক নিদর্শন,
ইট-পাথরের মাঝে বাজে, শাসকের মনস্পর্শন।
বুড়িমারী জিরো পয়েন্ট, পাহাড়ের পাশে দাঁড়ায়,
বাংলা-ভুটানের ভালোবাসায় এক সেতুবন্ধন গড়ায়।
চামড়াহাট, হাতিবান্ধা, আদিতমারীর নাম,
বাজারে, হাটে, মেলায় উঠে প্রাচীন মাটির গান।
জেলা পরিষদ পার্কে ছুটে আসে শিশুরা হেসে,
সবুজের মাঝে বাজে খুশির ছন্দ যেন কবিতার বেশে।
মসজিদ, মন্দির পাশাপাশি — ধর্ম যে দেয় বন্ধন,
ভ্রাতৃত্বের সুর বাজে, বাংলার চিরঐতিহ্য রচন।
এই আলো, এই মাটি, এই মানুষ — এ যেন গানের ছন্দ,
লালমনিরহাট মানেই ভালোবাসার বন্ধন অম্লান-চন্দ।