close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

কবিতা: নীতিকথা

sk shahrier hossen avatar   
sk shahrier hossen
****

আপনারা থামবেন না!

বেশ্যাদের সংখ্যা বেড়ে গেলেও আপনারা থামবেন না।

শুনাবেন রাজনৈতিক আ'চো'দা লেকচার

বলবেন ক্ষুধার কথা— ভাতের কথা।

বলবেন, সরকারি সিল লাগানো ওষুধের কথা, নামি-দামি সব ব্রান্ড, লাখ টাকায় কেনা বেঁচে থাকা।

কিন্তু আপনারা জানেনই না!!

গরিবের ওষুধ, সিল লাগানো ওষুধ না! গরিবের ওষুধ— ভাত, ক্ষুধা!

আপনারা হাসপাতাল বানিয়ে বা'লছেড়া বড় বড় কথা বলবেন, বক্তব্য ঠেঙাবেন। সেই ইমারতে নিজের নাম খোদায় করবেন। 

কিন্তু কখনোই জানবেন না।

এই অসুস্থতার পিছনে ছিলো এক অভুক্ত পেট, ক্ষুধার জ্বালা, দুমুঠো ভাত।

এই অসুস্থতার পিছনে ছিলো দানবের মত দাঁড়িয়ে থাকা কারখানার কালো ধোয়া— বিষাক্ত গ্যাস।

এই অসুস্থতার পিছনে ছিলো আপনাদের দফায় দফায় গাছ মুড়ো করে ফেলা।

 

আপনারা নীতিকথা চো'দাবেন না!

বেশ্যার সংখ্যা বেড়েছে মানে— বেশ্যা বাড়েনি।

বেড়েছে অভুক্ত পেটের সংখ্যা, বেড়েছে ক্ষুধা।

যদি বলেন, যৌন আসক্তির বাধ্যতায় তারা বেরিয়ে পড়েছে। 

তাহলে আমি আবার বলবো আপনারা নীতি কথা চো'দাবেন না!

যৌন আসক্তিই যদি হবে তাহলে তারা মুখ ঢেকে কেন?

আত্মগোপনে কেন? 

 

আপনরা থামবেন না, থামবেনই না—

আপনারা সুর্যের দোষ দিবেন, আপনারা গাছের দোষ দিবেন। আপনারা ভগবানের দোষ দিবেন—

কিন্তু আপনারা আপনাদের দোষ কখনোই দিবেন না।

আপনারা হয়ে যাবেন ভরাপেটের মহারাজ। বেশ্যা, চোর ডাকাতদের বানাবেন, ক্ষুধার আসামি।

 

আপনাদের সুর্য পোড়ালে, অক্সিজেনের অভাবে রাস্তায় পড়ে গেলেও—

আপনারা থামবেন না!

আপনারা নেতাদের গালি দিবেন, সৃষ্টিকর্তায় আস্থা হারাবেন। কিন্তু একফোটাও আপনারা আপনার নিজের প্রতি আস্থা কমাবেন না, মোটেও নিজেকে দোষ দিবেন না। 

কারন আপনারা এক ভুয়া বোকা বা'লছেড়া মানুষ।

 

আপনারা স্বর্গ-নরকের বিলাপ ছুড়বেন, আদবকায়দার কথা বলবেন—

ধর্মের কথা বলবেন, কিন্তু কখনোই নরকের ভয় করবেন না!

উল্টে চুরি-ডাকাত-হাঙ্গামায় ঘুষ খেয়ে বসে থাকবেন, ভুলে যাবেন নরক, ভুলে যাবেন স্বর্গ। 

আপনাদের কিনে ফেলবে টাকা—

সর্বগ্রাসী টাকা।

টাকা আপনাদের মাথায় হা'গবে! 

আর সেই হা'গা আপনারা অতি-আহ্লাদে চেটেপুটে খাবেন।

নাচবেন গাইবেন, মদ খেয়ে করবেন উল্লাস।

কিন্তু ক্ষুধা? দুমুঠো ভাত?

 

আপনাদের চিন্তা এবং বা'লছেড়া ভাবনা—

কথার ভেতরে শেষ হয়। বাস্তবায়ন হয় না।

আপনারা বেঁচে বেঁচে মরেন, আপনারা বেছে বেছে মারেন।

আপনারা থামবেন না—

কোনো শক্তিই আপনাদের থামাতে পারেনি, পারবেও না। 

আপনারা পার্ক-স্ট্রিটে সে'ক্স করবেন। টাকার বিনিময়ে কিনে ফেলবেন কোনো এক ক্ষুধায় কাতর নারীর জীবন, কিনে ফেলবেন তার যত কষ্ট, কিনে ফেলবেন তার ঘোর সময়। 

আপনারা তাকে আপনাদের মদের দামের চেয়ে কম দামে কিনে ফেলবেন, বানাবেন বেশ্যা।

সে হয়ে যাবে বেশ্যা আর আপনারা সেজে যাবেন মহান, 

হয়ে যাবেন— সমাজে লুকিয়ে থাকা জল্লাদ।

 

আপনারা জন্মের আগে এমনকি হাত-পা গজানোর আগেই ছোট্ট জীবনকে হত্যা করবেন।

প্রথমে মা—কে খাবেন, পরে ছোট্ট নবজাতককে।

হত্যা যেন আপনাদের মুত্র বিসর্জনের চেয়েও সহজ।

তবুও আপনারা থামবেন না, আপনারা হয়ে যাবেন শ্রেষ্ঠ জীব। চির কল্যানকর মহান।

আপনারা আপনাদের আর শ্রেষ্ঠ বলে গালি চুদায়েন না।

নিরালায়— কাক, সাপ, নেকড়ে, পাখি, বাঘ, গাছ এরা সবাই, এরা সবাই হাসে।

গাল খিলখিলিয়ে হাসে। 

আপনারা বেশ্যা বানাবেন, আপনারা ভিক্ষুক বানাবেন— সেই ভিক্ষুকের হাতে একচিমটি চাল তুলে দিয়ে কুকুরের মত মুখ দেখিয়ে ছবি তুলে ফেলবেন।

আর ভেবে ফেলবেন—

আপনি মহৎ কাজ করে ফেলেছেন, হয়ে গেছেন শ্রেষ্ঠ। 

কিন্তু ক্ষুধা, পেটের জ্বালা?

আপনি এসি রুম, সুন্দরী নারী, আইফোন, ছাড়বেন না। কখনোই অভুক্তের পেটে ভাত যোগাবেন না। আমি বলছি— বিকট শব্দ করে বলছি, তাও আপনারা থামবেন না। 

আপনারা ওয়াটার হেমলক, গ্রিন পিট ভাইপারের চেয়েও বিষাক্ত।

আপনারা মানুষ চিবিয়ে খান আর উপরে বালের নীতিবান সাজেন।

 

লেখা: গৌরাঙ্গ দাস

সাংস্কৃতিক সম্পাদক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাহিত্য সংসদ

No comments found


News Card Generator