কাউছার আহাম্মদকে ফরিদগঞ্জ থেকে প্রত্যাহার
ফরিদগঞ্জে অনিয়ম দূর্ণীতির কারনে প্রত্যাহহার করা হলো কাউছার আহাম্মদকে। কাউছার আহাম্মদ চাঁদপুর এসএনএফটিসির আওতায় ফরিদগঞ্জ উপজেলার এসএফপিসির(উপজেলা বন কর্মকর্তা) দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এই দায়িত্ব পালনকালে উপজেলার সর্বত্র র্নিবিচারে সরকারি ও ব্যাক্তিমালিকানায় গাছ কেটে হাতিয়ে নেন লক্ষ লক্ষ টাকা। তার সহযোগিতায় গাছ খেকোরা উপজেলার লক্ষীপুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক সড়কের কয়েক লক্ষ গাছ কাটা হয়। কাউছার আহাম্মদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক, মাধ্যমিকসহ স্কুল কলেজের গাছ, এলজিইডির গাছ চুরি করে বিক্রি করার একাধিকার লিখিত অভিযোগ করা হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিকট। সর্বেশষ ৩ডিসেম্বর কুমিল্লা সামাজিক বন বিভাগীয় কর্মকর্তা জিএম কবির সাক্ষরিত নোটিশে তিন কর্মদিবসে দায়িত্ব হস্তান্তর করে কুমিল্লা বন বিভাগে যোগদান করার নির্দেশনা দেওয়া হলে উপজেলার প্রায় ৩শত ৫০ করাতকল মালিকদের থেকে ১ থেকে ৫হাজার করে চাঁদা আদায় করা শুরু করেন । করাতকলের মালিকরা জানান অন্যান্য বছর ৫শত থেকে ১হাজার টাকা নেওয়া হলেও এবছর বাধ্যকরে চাঁদা আদায় করা হয়েছে। চাঁদা নাদিলে আভিযান চালিয়ে বদ্ধকরে দেওয়ার হুমকি দেন। এবক্তব্য নেওয়ার সময় একাধিক করাতকলের মালিকরা তাদের গালিগালাজ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
ফরিদগঞ্জে নিবন্ধিত ৬২টি করাতকলসহ প্রায় ৩৫০টি করাতকল থেকে গড়ে ৩হাজার টাকা করে ১০লক্ষাধিক চাঁদা আদায়ের অভিযোগ করেছেন করাতকল মালিকরা।
নতুন বাংলালােদশে বিজয় দিবস পালনের নামে চাঁদা আদায় করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। চাঁদা আদায়ের কথা স্বীকার করে কাউছার আহাম্মদ
বলেন, হ্যাঁ চাঁদা আদায় করেছিতো।
৩ডিসেম্বর সাক্ষরিত নোটিশে ৩কর্ম দিবসে কুমিল্লা বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয়ে যোগ দেওয়ার নির্দেশনা থাকলেও কতৃপক্ষকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ১৫ডিসেম্বর পর্যন্ত ফরিদগঞ্জে ছিলেন।
জেলা বন কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম বলেন, অনেক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে ফলে আমি বাধ্য হয়ে বলেছি আপনাকে নিয়ে আর হবেনা। তাকে কুমিল্লায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, কাল পরশুর মেধ্য যোগদিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।



















