close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

কাতার সম্মেলনে ইউনূসের বার্তা: “তরুণদের পিছনে ফেলে নয়, সামনে রেখে এগোতে হবে..

আব্দুল্লাহ আল মামুন avatar   
আব্দুল্লাহ আল মামুন
“তরুণদের পিছনে ফেলে নয়, তাদের হাত ধরে সামনে এগোতে হবে”

বিশ্ব যখন জলবায়ু পরিবর্তন, প্রযুক্তিগত বৈপ্লবিক পরিবর্তন এবং অর্থনৈতিক বৈষম্যের চ্যালেঞ্জে জর্জরিত, তখন কাতারের দোহায় অনুষ্ঠিত আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনে এক গভীর দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সম্মেলনের বক্তৃতায় প্রফেসর ইউনূস বলেন  “আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি সমৃদ্ধ, স্থিতিস্থাপক, সবুজ ও টেকসই পৃথিবী রেখে যেতে হবে। যেটি গঠিত হবে জ্ঞান, উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তির সংমিশ্রণে। এই পৃথিবী হবে ভবিষ্যতের জন্য সর্বজনীন স্থায়িত্বের মডেল।”

এই বক্তব্য কেবল কূটনৈতিক শোভা নয় বরং বাংলাদেশের রাজনীতি এবং বিশ্বদর্শনের ক্ষেত্রে একটি নতুন আদর্শিক দিকনির্দেশনা।

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন “আজকের তরুণরাই এই পৃথিবীর উত্তরাধিকারী। আমরা তাদের পেছনে ফেলে আসা উচিত নয়। আমি নিজ চোখে দেখেছি, কীভাবে নাগরিক জাগরণের রূপান্তরমূলক শক্তি তরুণদের মধ্যেই নিহিত রয়েছে।”

এই বক্তব্যের মাধ্যমে ইউনূস তরুণদের রাজনৈতিক ও সামাজিক অন্তর্ভুক্তির প্রয়োজনীয়তাকে সামনে আনলেন। এমন এক সময়ে, যখন বাংলাদেশে যুবসমাজ ক্রমশ হতাশ ও অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ছে, এই বার্তা তাদের জন্য নতুন আশার বাতিঘর হতে পারে।

বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় ইউনূসের এই আন্তর্জাতিক সফর এবং বক্তব্য বাংলাদেশের বাইরে তার গ্রহণযোগ্যতা ও মর্যাদা আরও একবার প্রমাণ করল। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানির আমন্ত্রণে এই সফর—এবং সম্ভাব্য দ্বিপাক্ষিক বৈঠক—অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করার প্রক্রিয়ার অংশ বলেই বিশ্লেষকদের মত।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশ্বমঞ্চে ইউনূসের গ্রহণযোগ্যতা দেশের অভ্যন্তরীন সমঝোতা ও পরবর্তী নির্বাচনী পরিকল্পনায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

প্রফেসর ইউনূস কাতারে পৌঁছালে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা জানানো হয়। কাতার সরকারের প্রটোকল প্রধান ও রাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম ফাখরু নিজে উপস্থিত থেকে তাকে স্বাগত জানান। এই আন্তরিকতা শুধু ব্যক্তি ইউনূস নয়, বরং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী নেতৃত্বের প্রতি এক সম্মান প্রদর্শন হিসেবেই অনেকে দেখছেন।

একদিকে যখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জাতীয়তাবাদ, বিভাজন এবং উগ্র রাজনীতি চরমে—তখন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শান্তি, উদ্ভাবন, সবুজ পৃথিবী, এবং তরুণদের ক্ষমতায়নের বার্তা আন্তর্জাতিক মহলে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

প্রফেসর ইউনূসের কণ্ঠে এই বার্তা শুধু কাতারের মঞ্চেই সীমাবদ্ধ নয়—এটি বাংলাদেশের নতুন পথে চলার এক ঘোষণাও হতে পারে।

Không có bình luận nào được tìm thấy


News Card Generator