কাশ্মিরে ‘ইসরায়েলি কায়দায়’ ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ভারতীয় সেনারা: আলজাজিরা..

Abdullah Al Mamun avatar   
Abdullah Al Mamun
জম্মু-কাশ্মিরে সাম্প্রতিক হামলার পর ভারতীয় সেনারা ‘ইসরায়েলি কৌশল’ অনুসরণ করে নিরীহ মানুষের বাড়িঘর ধ্বংস করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।..

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা রোববার (২৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। গত ২২ এপ্রিল পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর থেকেই কাশ্মিরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর দমন-পীড়ন ও ধ্বংসযজ্ঞ বেড়ে গেছে। হামলার পরের কয়েকদিনে জম্মু-কাশ্মিরে অন্তত ৯টি বসতবাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে সেনারা। এগুলো বিদ্রোহীদের বাড়ি বলে দাবি করছে তারা।

আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, লস্কর-ই-তৈয়বার সদস্য হিসেবে অভিযুক্ত ফারুক তিদার পরিবারিক বাড়ি বিস্ফোরক দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় বাহিনী। এ বিষয়ে ফারুকের এক আত্মীয় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,
"ভারত এখন ইসরায়েলি কৌশল অবলম্বন করছে। তারা ইসরায়েলিদের মতো বাড়ি ধ্বংস করছে।"

উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনে স্বাধীনতাকামীদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলও একই পদ্ধতিতে বাড়িঘর ধ্বংস করে থাকে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো বরাবরই একে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করে আসছে।

ফারুক তিদার পরিবার জানিয়েছে, তিনি ১৯৯০ সালের দিকে পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন এবং তারপর আর কখনো ফিরে আসেননি। তাদের প্রশ্ন, বছরের পর বছর ধরে যে ব্যক্তি কাশ্মিরে নেই, তার পরিবারকে কেন এভাবে শাস্তি দেওয়া হলো?

এদিকে দক্ষিণ কাশ্মিরের পুলওয়ামায় আহসান শেখ নামের এক সন্দেহভাজন বিদ্রোহীর বাড়িও ধ্বংস করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, তিনিও লস্কর-ই-তৈয়বার সদস্য। তবে তাকে ধরতে গিয়ে সেনারা আশপাশের আরও অন্তত ১২টি বাড়ি ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা।

একজন বাসিন্দা আলজাজিরাকে বলেন,
"আমরা ইশার নামাজ পড়ছিলাম। হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দে চারপাশ কেঁপে ওঠে। শুধু বিদ্রোহীর বাড়িই নয়, আশপাশের আরও অনেক নিরীহ মানুষের বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে। আমরা নিরীহ। আমাদের অপরাধ কী?"

পেহেলগামে হামলার পর জম্মু-কাশ্মিরের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক গণগ্রেপ্তার অভিযানও শুরু হয়েছে, যার ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ও ক্ষোভ তীব্র আকার ধারণ করেছে।


সূত্র: আলজাজিরা

No comments found