close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

কাশ্মীর হা'মলার কথা আগেই জানতেন মোদি, বো'মা ফাটা'লেন কংগ্রেস সভাপতি..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
কাশ্মীরে পেহেলগাম হামলার আগাম খবর পেয়েও চুপ ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি! কংগ্রেস সভাপতির বিস্ফোরক দাবি ঘিরে চরম রাজনৈতিক উত্তেজনা। ভেতরের তথ্য জানলে আপনিও চমকে উঠবেন!..

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ হামলার আগাম তথ্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে ছিল—এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। মঙ্গলবার (৬ মে) এক সাংবাদিক সম্মেলনে খাড়গে বলেন, “হামলার আগেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা বিস্তারিত তথ্য প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠিয়েছিল। আর সেই কারণেই মোদি তার নির্ধারিত কাশ্মীর সফর হঠাৎ করেই বাতিল করেন হামলার ঠিক তিনদিন আগে।”

এই দাবির পরেই ভারতীয় রাজনীতিতে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। বিরোধী দলগুলো প্রশ্ন তুলছে—যদি আগেই হামলার আশঙ্কা থাকত, তাহলে কেন নিরাপত্তা জোরদার করা হয়নি? কেন সাধারণ জনগণ এবং জওয়ানদের কোনো সতর্কতা দেওয়া হয়নি?


রাজনৈতিক সুবিধা’র জন্য চুপ ছিলেন মোদি?

খাড়গের দাবি আরও গুরুতর। তিনি ইঙ্গিত দেন, “প্রধানমন্ত্রী জানতেন হামলা হবে। কিন্তু এটিকে হয়তো রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করাই ছিল তার লক্ষ্য।” তার বক্তব্য, এই ধরনের নিরাপত্তা সংকট মোদিকে একধরনের সহানুভূতি ও জাতীয়তাবাদের আবরণে মোড়া রাজনৈতিক ফায়দা এনে দিতে পারে, এমন ধারণাই নাকি চলছিল বিজেপির অন্দরমহলে।

এই অভিযোগের পরপরই কংগ্রেসের অন্যান্য নেতারাও সুর চড়াতে শুরু করেছেন। রাহুল গান্ধী টুইটে লেখেন, “যদি প্রধানমন্ত্রী দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে গোপনীয়তা রক্ষা করে থাকেন—তবে সেটি এক ধরনের বিশ্বাসঘাতকতা।”


 বিজেপির পাল্টা জবাব: 'উল্টো চোর কোটালকে দোষ দেয়'

এদিকে বিজেপির পক্ষ থেকে কংগ্রেসের এই অভিযোগকে ‘নির্লজ্জ মিথ্যাচার’ বলে অভিহিত করা হয়েছে। দলটির মুখপাত্র সম্বিত পাত্র বলেন, “কাশ্মীর নিয়ে কংগ্রেসের অতীতই প্রশ্নবিদ্ধ। তারা নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতেই এই মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলে কংগ্রেস আসলে দেশের সুরক্ষা ব্যবস্থাকেই আক্রমণ করছে।”


 পূর্বেও ঘটেছে এমন বিতর্ক

এই প্রথম নয়, এর আগেও বিভিন্ন হামলার আগে গোয়েন্দা রিপোর্ট থাকা সত্ত্বেও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পুলওয়ামা হামলার সময়ও প্রশ্ন উঠেছিল, কীভাবে এত বড় বিস্ফোরক বহন করে আত্মঘাতী গাড়িটি সেনা কনভয়ের এত কাছে পৌঁছাতে পারল।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “ভারতে গোয়েন্দা তথ্য পাওয়া ও সেটিকে কার্যকর করা—এই ব্যবস্থার মধ্যে এখনো বড় ফাঁক রয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর স্তরের কেউ আগাম তথ্য পেয়ে নিজের সফর বাতিল করছেন অথচ জনগণকে জানাচ্ছেন না—এটা অবিশ্বাস্য ও উদ্বেগজনক।”


 জনগণের কণ্ঠে ক্ষোভ

সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া থেকেও স্পষ্ট, তারা চাইছে এই বিষয়ে স্বচ্ছ তদন্ত হোক। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন উঠছে, “প্রধানমন্ত্রী যদি হামলা সম্পর্কে আগেই জানতেন, তাহলে কেন জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়নি? কাদের রক্ষা করতেই বা কাশ্মীর সফর বাতিল করা হলো?”

একজন মন্তব্য করেছেন, “আমরা কেবল ভোটের সময় নয়, বিপদের সময়ও প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি ও সাহচর্য কামনা করি। এভাবে নিজে সরে গিয়ে বাকিদের ফেলে দেওয়াটা অনৈতিক।”


 রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কোন পথে?

এই বিতর্ক মোদির ভাবমূর্তিতে বড়সড় আঘাত আনতে পারে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। যদিও নির্বাচনী হিসাবনিকাশে এর বাস্তব প্রভাব পড়বে কিনা, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে কংগ্রেস এই ইস্যুকে সামনে রেখে নির্বাচনী প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।

খাড়গে আরও জানিয়েছেন, তারা সংসদে এই বিষয়ে প্রশ্ন তুলবেন এবং প্রয়োজন হলে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করবেন যাতে গোয়েন্দা তথ্য ও প্রধানমন্ত্রীর সফর বাতিলের পেছনের তথ্য জনগণের সামনে আনা হয়।


কাশ্মীর হামলা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আগাম জানা সফর বাতিল—এই দাবিকে কেন্দ্র করে ভারতীয় রাজনীতিতে ঝড় উঠেছে। সত্যিই কি আগাম খবর পেয়েও চুপ ছিলেন মোদি? নাকি সবই রাজনৈতিক নাটক? সত্য উদ্ঘাটনে দেশজুড়ে এখন একটাই দাবি—স্বচ্ছ তদন্ত এবং দায়ীদের জবাব

Nenhum comentário encontrado