close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

কালকের কর্মসূচিতে খালেদা-তারেকের বার্তা থাকবে: আশা রিজভীর..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
১ জুলাইয়ের ঐতিহাসিক কর্মসূচিকে ঘিরে বিএনপির ভেতরে তৈরি হয়েছে ব্যতিক্রমী উদ্দীপনা। রুহুল কবির রিজভী জানিয়েছেন, সভায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের গুরুত্বপূর্ণ বার্তা থাকতে পারে। সমমনা দল ও শহীদ পরিবারের ..

বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনার হাওয়া বইছে। কারণ, আগামীকাল ১ জুলাই মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিএনপির একটি বহুল প্রতীক্ষিত কর্মসূচি, যেখানে দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সরাসরি বার্তা প্রচারিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

সোমবার (৩০ জুন) বিকেলে রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত "জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি" উপলক্ষে শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক শেষে রিজভী এই ইঙ্গিত দেন। তিনি বলেন, “আগামীকাল আমাদের আয়োজিত কর্মসূচিতে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের গুরুত্বপূর্ণ বার্তা থাকবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি। এ অনুষ্ঠানটি হবে সম্মানজনক, ঐতিহাসিক এবং সুসংগঠিত।

বিএনপির দীর্ঘদিন ধরে চলা আন্দোলন ও রাজনৈতিক পুনর্গঠনের প্রেক্ষাপটে এ ধরনের বার্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাজনীতির মাঠে যখন দলটি নতুন কৌশলে উত্তরণ চাচ্ছে, তখন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বার্তা আগামী দিনের কৌশল ও দিকনির্দেশনার চিত্রও স্পষ্ট করে তুলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

রিজভী বলেন, “এই কর্মসূচি শুধু একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, এটি একটি রাজনৈতিক বার্তা দেবে গোটা জাতিকে। আমরা আশা করছি, এটি মহিমান্বিত এক ঐতিহাসিক দিন হবে।

কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নে দলের নেতাকর্মীদের আন্তরিকতা এবং শৃঙ্খলার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন রিজভী। তিনি বলেন, “আমাদের নেতাকর্মীদের অনুরোধ করবো, আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করবেন। তাদের সম্মানজনকভাবে বসার ব্যবস্থা নিশ্চিত করবেন। এ কর্মসূচিকে আমরা একটি স্মরণীয় সফলতা হিসেবে গড়তে চাই।”

তিনি আরও বলেন, “জাতীয় নেতা, সমমনা দলের নেতারা, গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবার ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে এই আলোচনাসভা একটি শক্তিশালী বার্তা দেবে।

শৃঙ্খলা কমিটির পাশাপাশি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আহ্বায়ক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সদস্য সচিব আমিনুল হক, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক মোরশেদ হাসান খান, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুমন, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, ডা. জাহাঙ্গীর আলমসহ বিভিন্ন উপকমিটির নেতা ও কর্মীরা।

তারা সবাই মিলে আগামীকালের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অনুষ্ঠানটি শান্তিপূর্ণ ও শৃঙ্খলাপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে নানা দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

আগামীকালের কর্মসূচি ঘিরে শুধু বিএনপির নয়, বরং গোটা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের চোখ থাকবে সম্মেলনকেন্দ্রের দিকে। বিএনপির শীর্ষ দুই নেতার বার্তা যদি সত্যিই আসে, তবে সেটি হতে পারে আগামী দিনের রাজনৈতিক কর্মপন্থা ও দৃষ্টিভঙ্গির বড় দিকনির্দেশক।

কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি