close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

কালিগঞ্জে চিকিৎসার অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যু বন্ধন হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ..

এস এম তাজুল হাসান সাদ avatar   
এস এম তাজুল হাসান সাদ
কালিগঞ্জে চিকিৎসার অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যু বন্ধন হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ



সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগরে অবস্থিত বেসরকারি ‘বন্ধন হাসপাতাল’-এ চিকিৎসকের অনুপস্থিতি ..

কালিগঞ্জে চিকিৎসার অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যু বন্ধন হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ

 

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগরে অবস্থিত বেসরকারি ‘বন্ধন হাসপাতাল’-এ চিকিৎসকের অনুপস্থিতি ও অবহেলায় এক নবজাতকের মৃত্যুর প্রমাণ মিলেছে। ফলে হাসপাতালটির কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়।

 

সিভিল সার্জনের পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, হাসপাতালটিতে দায়িত্বরত চিকিৎসক না থাকা, পর্যাপ্ত চিকিৎসা সামগ্রী এবং সেবা না থাকার কারণে এক নবজাতকের মৃত্যু ঘটে। এ বিষয়ে দাখিল করা অভিযোগের ভিত্তিতে গঠিত তদন্ত কমিটি ৪ জুন সরেজমিন তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পায়।

 

তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়— গত ২৪ মে কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের মোস্তাকিম বিল্লার স্ত্রী মনিরা পারভীন প্রসব বেদনায় বিকেল ৪টার দিকে বন্ধন হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর দীর্ঘ সময় কোনো রেজিস্ট্রার চিকিৎসক কিংবা নার্স উপস্থিত ছিলেন না। বারবার অনুরোধ করার পরও চিকিৎসা সেবা না পেয়ে প্রসূতি রাতভর যন্ত্রণায় ছটফট করলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

 

পরিবারের অভিযোগ, রাত ৩টা ৩০ মিনিটে ডাক্তার আসছে বলে আশ্বাস দেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত কেউ আসেনি। ভোর ৪টার পর নবজাতক জন্ম নিলেও চিকিৎসক, নার্স, জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জাম ও অক্সিজেনের অভাবে শিশুটির মৃত্যু হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে শিশুটির মৃত্যুর কারণ হিসেবে “Asphyxia due to prolonged/obstructed labour” অর্থাৎ দীর্ঘসময় প্রসব বিলম্ব ও বাধাজনিত শ্বাসরোধকে দায়ী করা হয়।

 

এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, এই ধরনের অবহেলা মেনে নেওয়া যায় না। তারা জেলার সব বেসরকারি হাসপাতালের কার্যক্রম কঠোর নজরদারির আওতায় আনার দাবি জানান।

 

চলতি বছরের ১৬ জুন জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. আব্দুস সালাম স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়— “পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধন হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হবে।” নির্দেশনা অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও উল্লেখ করা হয়।

 

চিঠির অনুলিপি পাঠানো হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, খুলনা বিভাগের পরিচালক (স্বাস্থ্য), সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে।

Không có bình luận nào được tìm thấy