close
কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!
জুলাই অভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক গুরুত্ব ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান চরমোনাই পীরের শক্তিশালী বার্তা


ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির, চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম সম্প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ন বক্তব্য দিয়েছেন, যেখানে তিনি ‘জুলাই অভ্যুত্থান’-এর গুরুত্ব তুলে ধরেছেন এবং এর মাধ্যমে নতুন স্বাধীনতা অর্জনের কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা এক নতুন স্বাধীনতা অর্জন করেছি, যা আমাদের জন্য একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক।’ তার মতে, এই স্বাধীনতা যদি অর্থবহ হতে হয়, তবে আমাদের একত্রিত হয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত জেলা ও নগর সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চরমোনাই পীর দেশের বর্তমান শাসনব্যবস্থা এবং ভবিষ্যতের জন্য ইসলামী আদর্শে শাসন ব্যবস্থা কায়েম করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। তিনি সরকারের নরম ভাষা এবং কিছু ক্ষেত্রে অপরাধীদের শাস্তি থেকে মুক্তির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে আহ্বান করেন। চরমোনাই পীর বলেন, ‘এনজিওর মতো দেশ চালানো যাবে না, সরকারপ্রধানকে শাসক হিসেবে কঠোর ভূমিকা রাখতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি আমরা সত্যিকার অর্থে একটি ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চাই, তবে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কঠিন পরিশ্রম করতে হবে।’ ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য চরমোনাই পীর বলেন, ‘এমন একটি সমাজ গড়ে তুলতে হবে যেখানে সকল নাগরিকের মৌলিক অধিকার সুরক্ষিত থাকবে, শ্রমিক তার অধিকার পাবে এবং নারীও সঠিক অধিকার ফিরে পাবে।’
এছাড়া, তিনি জনগণকে সচেতন করে বলেন, ‘আমরা শুধু সোনার বাংলা, ডিজিটাল বাংলা নয়, এবার ইসলামের বাংলা প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। যেখানে শুধু ন্যায়বিচার নয়, ইসলামী শিক্ষা এবং সংস্কৃতির ভিত্তিতে সমাজ গড়ে তোলা হবে। তখন একজন মাদকসেবীও পরিবেশের প্রভাবে নিজে নিজে মাদক ছেড়ে দেবে।’
মুফতি ফয়জুল করীম আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ কখনো কারো কাছে মাথানত করতে জানে না। সীমান্তে বিএসএফের অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছে তারা। বাংলাদেশের ওপর আঙুল তোলার চেষ্টা হলে, তা ভেঙে দেয়া হবে।’
নারায়ণগঞ্জে আয়োজিত সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ, যারা শাসনব্যবস্থায় সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার মো: আশরাফুল আলম এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি দেলাওয়ার হোসাইন সাকী।
এছাড়া, নারায়ণগঞ্জ জেলার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর নেতা-মহাশয়রা সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন এবং ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানান।
এই ঐতিহাসিক সম্মেলনটি একটি শক্তিশালী বার্তা দিয়েছে যে, দেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে, তারা যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সক্ষম। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আরও জোরালোভাবে তাদের লক্ষ্যকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে, যাতে একদিন সত্যিকার ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন:
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি মাওলানা দ্বীন ইসলাম সাহেব
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ
অন্যান্য নেতৃবৃন্দ: হাফেজ মুহাম্মদ আমিন উদ্দিন, মুফতি হাবিবুল্লাহ হাবিব, জাহাঙ্গীর কবির, সুলতান মাহমুদ, হাজী আমান উল্লাহ, ডা: সাইফুল ইসলাম, মাওলানা শামসুল আলম, মুহা. যোবায়ের হোসেন, আনোয়ার হোসেন, মুহাম্মদ আলী, এইচ এম শাহীন আদনান, মাওলানা মাকসুদুর রহমান এবং আরও অনেকে।
এই সম্মেলনটি প্রমাণ করে যে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ তার লক্ষ্য অর্জনে দৃঢ় প্রত্যয়ী এবং একযোগে কাজ করছে জনগণের অধিকার ও ন্যায়বিচারের প্রতিষ্ঠা করার জন্য।
Ingen kommentarer fundet