close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’-এর বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে সাভারে পদযাত্রা’ কর্মসূচিতে এনসিপির নেতারা..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বার্ষিকীতে সাভারে পদযাত্রা করলো এনসিপি। এই কর্মসূচিতে সরকারবিরোধী অবস্থান পুনরায় স্পষ্ট করল দলটি, যেখানে বক্তারা দাবি তুললেন জনগণের শাসনের বাস্তবায়ন ও রাজনৈতিক জবাবদিহিতার।..

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ এক তারিখ হিসেবে বিবেচিত ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’-এর স্মরণে শনিবার সাভারে এক পদযাত্রা কর্মসূচির আয়োজন করে জাতীয় গণতান্ত্রিক দল (এনসিপি)।
এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সাভারের বিভিন্ন এলাকা থেকে দলে দলে নেতাকর্মীরা জড়ো হন, যেখানে মূল স্লোগান ছিল— "জবাবদিহিমূলক সরকার চাই, জনগণের শাসন চাই।

পদযাত্রার নেতৃত্বে ছিলেন এনসিপি চেয়ারম্যান গোলাম মাওলা রনি, যিনি পদযাত্রা শুরুর আগেই এক তাৎক্ষণিক বক্তব্যে বলেন,
জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল একটি প্রতীকী বিদ্রোহ, যেখানে জনগণ বুঝিয়ে দিয়েছিল রাষ্ট্রের মালিক তারাই। আজও সেই চেতনা আমাদের গন্তব্যের দিশা দেখায়।

"আমরা এই কর্মসূচির মাধ্যমে রাষ্ট্রযন্ত্রের দমন-পীড়নের প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা বিশ্বাস করি, জনগণের ন্যায্য অধিকার আদায়ে এখন ঐক্যই একমাত্র পথ।

এই পদযাত্রায় আরও উপস্থিত ছিলেন দলটির মহাসচিব মাহমুদুল হাসান রানা, যুগ্ম মহাসচিব সেলিম হাসান এবং ছাত্রনেতা মোহাইমিনুল ইসলাম।

দেশে গণতন্ত্র নেই, মানুষ ভোট দিতে পারে না, বিচার চায় — পায় না। এই পরিস্থিতিতে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’-এর স্মৃতি আমাদের পথ দেখায়। এই দিনটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়, কীভাবে দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে একসাথে দাঁড়াতে হয়।

এনসিপি নেতারা সরকারের পদত্যাগ ও অবাধ নির্বাচনসহ বেশ কিছু দাবির কথা জানান।

 

আমরা শুধু পদযাত্রা করছি না — আমরা দেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা, ইউনিয়নে এই বার্তা পৌঁছে দেব যে, এদেশ জনগণের। সংবিধান ও সংবেদনশীলতা রক্ষায় এই সরকারকে সরে দাঁড়াতেই হবে।

পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় প্রশাসন সতর্ক অবস্থানে ছিল। সাভার মডেল থানার এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান,

অনুমতিপ্রাপ্ত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির ক্ষেত্রে আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা করি। এ ধরনের পদযাত্রায় নজরদারি রাখা হয় যাতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে।

এই পদযাত্রার ছবি ও ভিডিও ইতোমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই মন্তব্য করেছেন

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মতো ইতিহাস স্মরণে রাখা উচিত, কারণ সেটিই আমাদের শেখায় কখন মাথা নত না করতে হয়।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এনসিপি এখন ক্রমশ নিজস্ব একটি জায়গা করে নিতে চাইছে। বিশেষ করে সরকারের বিরুদ্ধে যারা অসন্তুষ্ট — তাদের মাঝে এক ধরনের বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে তারা কাজ করতে চায়।

‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ কেবল একটি ঐতিহাসিক দিন নয় — এটি একটি বার্তা। আর সেই বার্তা নিয়েই এবার পথে নেমেছে এনসিপি। সাভারের পদযাত্রা হয়তো আন্দোলনের সূচনা — যার লক্ষ্য বৃহৎ পরিসরে সরকারবিরোধী গণসংগঠনের রূপ নেওয়া।

לא נמצאו הערות