close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য চাওয়া ইসরায়েলের ‘দুর্বলতার লক্ষণ’: খামেনি..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চাওয়া ইসরায়েলের চূড়ান্ত ব্যর্থতার স্বীকৃতি। ইসরায়েলকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাওয়া এক বিধ্বস্ত রাষ্ট্র’ আখ্যা দিয়ে খামেনি তাঁর..

তেহরান ও তেলআবিবের উত্তেজনার পারদ যখন সর্বোচ্চে, তখন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এক বিস্ফোরক মন্তব্যে জানান, যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ইসরায়েলের প্রকাশ্য সাহায্য চাওয়া আসলে সেই রাষ্ট্রের ‘চরম দুর্বলতা ও ব্যর্থতার নগ্ন স্বীকারোক্তি’।

খামেনি বলেন, “জায়নিস্ট শক্তির মার্কিন পৃষ্ঠপোষকরা এখন তাদের পক্ষে প্রকাশ্যে কথা বলছে। এতে প্রমাণিত হয়, ইসরায়েলি শাসনব্যবস্থা চরমভাবে বিপর্যস্ত ও অক্ষম অবস্থায় রয়েছে। তারা ভেতর থেকে ধসে পড়ছে।

এই মন্তব্য আসে এমন এক সময়ে, যখন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে এবং গাজা পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করেছে। খামেনি সরাসরি তাঁর জনগণকে উদ্দেশ করে বলেন, “আমার প্রিয় জাতিকে আমি বলতে চাই— যদি আপনারা শত্রুকে ভয় পান, তাহলে তারা আপনাদের কখনোই ছাড়বে না। ভয় তাদের সাহস জোগায়। তাই দৃঢ় থাকুন, নির্ভীক থাকুন।”

তিনি আরও বলেন, “আজ পর্যন্ত আপনারা যেভাবে সাহসিকতা ও অবিচলতায় প্রতিরোধ করে এসেছেন, সেই পথেই আরও বলিষ্ঠভাবে এগিয়ে যান। আমাদের একচুল পিছু হটার সুযোগ নেই।

খামেনির এই বক্তব্যের কিছু সময় পরই ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ এক টেলিভিশন বিবৃতিতে জানান, “খামেনির মতো একজন ব্যক্তি, যিনি বহু বছর ধরে আমাদের ধ্বংস করতে চেয়েছেন এবং এখন সরাসরি আক্রমণের নির্দেশ দিচ্ছেন— এমন একজনকে আমাদের নিশ্চিহ্ন করতে হবে।

তিনি স্পষ্ট বলেন, “খামেনিকে থামানো, এবং তাঁকে নির্মূল করাই এখন আমাদের সামরিক অভিযানের প্রধান লক্ষ্য। এটি শুধুই প্রতিশোধ নয়, এটি আমাদের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন।

এতদিন ধরে ইসরায়েল যে ‘রেজিম চেঞ্জ’ বা ইরানে শাসন পরিবর্তনের কথা বলে আসছিল, এবার সেটি যেন আরও সরাসরি উচ্চারিত হলো ইসরায়েলি প্রশাসনের মুখে। খোদ প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুও একটি ভিডিও বার্তায় ইরানিদের উদ্দেশে বলেন, “আমাদের অভিযান আপনাদের স্বাধীনতার পথ সুগম করবে বলে আমরা আশা করি।

বিশ্লেষকদের মতে, এটি শুধুমাত্র প্রতিরোধমূলক লড়াই নয়, বরং মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক মানচিত্র পাল্টে দেওয়ার পরিকল্পনার অংশ।

বিশ্বজুড়ে এই উত্তেজনা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। বিশেষত যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ্যে ইসরায়েলকে সমর্থন দেওয়ায় মধ্যপ্রাচ্যের অন্য রাষ্ট্রগুলোও নতুন করে অবস্থান পরিষ্কার করছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, “এটি আর শুধু ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্ব নয়— এটি হয়ে উঠেছে বিশ্বশক্তিগুলোর কৌশলগত লড়াইয়ের ময়দান।”

আয়াতুল্লাহ খামেনির কণ্ঠে সাহসিকতা, আত্মবিশ্বাস ও এক দৃঢ় রাজনৈতিক বার্তা থাকলেও, ইসরায়েলি নেতৃত্ব তাঁর ‘ধ্বংস’ চায়— এমন ঘোষণা মধ্যপ্রাচ্যকে এক নতুন যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।
এই সংঘর্ষে পরবর্তী ধাক্কা কোথায় গিয়ে আঘাত হানে, তা এখন সময়ের অপেক্ষা।

कोई टिप्पणी नहीं मिली