close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

যুদ্ধ থামানো নিয়ে আবারও ট্রাম্পের দাবি প্রত্যাখ্যান ভারতের..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ভারত স্পষ্ট জানালো, ট্রাম্পের বাণিজ্য চাপ দিয়ে যুদ্ধ থামানোর দাবি সঠিক নয়; দুই ক্ষেত্রে আলাদা কূটনীতি ও ব্যবসা চলে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের বক্তব্যে উঠে এলো বাস্তবতা।..

সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ থামানোর জন্য ‘বাণিজ্য চাপ’ ব্যবহারের দাবি করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন। তবে ভারতের পক্ষ থেকে এই দাবিকে প্রত্যাখ্যান করলেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, যিনি জানান, কূটনৈতিক আলোচনা ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক দুইটি সম্পূর্ণ আলাদা ক্ষেত্র এবং একটির মাধ্যমে অন্যটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।

গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগাঁওয়ে এক প্রাণঘাতী হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যা ভারত পাকিস্তান-সমর্থিত জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়বার কর্মকাণ্ড বলে দাবি করেছে। এর জবাবে ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থা নেয়। পাকিস্তান তা প্রত্যাখ্যান করলেও, পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকায় যুদ্ধবিরতি চাওয়া হয় নানা মাধ্যমে।

মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ৯ মে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ফোনালাপে পাকিস্তানের হামলার প্রস্তুতি জানালে মোদি তাকে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে দেন। জয়শঙ্কর তখন মোদির পাশে ছিলেন এবং জানান, মোদি ভয় পায়নি, বরং কঠোর প্রতিক্রিয়ার সংকেত দেন।

যদিও ট্রাম্প বার বার দাবি করছেন যে তার ‘বাণিজ্য চাপ’ যুদ্ধ থামাতে বড় ভূমিকা রেখেছে, জয়শঙ্কর সংবাদ মাধ্যম নিউজউইককে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এই দাবি ভিত্তিহীন। তিনি বলেন, “কূটনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্যের মধ্যে কোনো সংযোগ নেই; তারা সম্পূর্ণ আলাদা। ব্যবসায়ীরা তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে পেশাদারিত্বের সঙ্গে।”

জয়শঙ্কর আরো জানান, পাকিস্তানের হামলার তীব্রতা ৯ মে বাড়ানো হয়, কিন্তু ভারতীয় সেনাবাহিনী যথাসময়ে তাদের শক্ত প্রতিক্রিয়া প্রদান করে। ১০ মে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওয়ের সঙ্গে আলোচনা শেষে পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি চেয়েছিল। পাকিস্তানি সেনাপ্রধানের নির্দেশে পাকিস্তানি ডিজিএমও ভারতের ডিজিএমও-কে ফোন করে যুদ্ধবিরতির অনুরোধ জানায়।

ভারত স্পষ্ট করে দিয়েছে, তাদের অবস্থান কঠিন এবং কোনো কূটনৈতিক বা বাণিজ্য চাপ তাদের জাতীয় নিরাপত্তাকে হুমকি দিতে পারবে না। জয়শঙ্করের কথায়, “যুদ্ধবিরতি ও বাণিজ্য আলোচনার আলাদা পথ রয়েছে। একে অপরের ওপর চাপ সৃষ্টি করে যুদ্ধ থামানো সম্ভব নয়।”

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দাবি নিয়ে ভারতের স্পষ্ট অবস্থান বিশ্ব রাজনীতিতে এক নতুন বার্তা পাঠাচ্ছে—একটি দেশ তার নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বকে বিক্রির বিনিময়ে অন্য দেশের চাপ মেনে নেবে না।

এই ঘোষণার মাধ্যমে ভারত এমন সময় শক্ত অবস্থান নিয়েছে, যখন দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতি অতি স্পর্শকাতর। এর পাশাপাশি এটি ভারতের স্বকীয় কূটনীতি ও নিরাপত্তা নীতির ওপর দৃঢ় আস্থা প্রদর্শন করে

לא נמצאו הערות


News Card Generator