close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

যুবলীগ নেতার হামলায় গুরুতর আহত জামায়াত নেতার মা ও বোন 

Sudipto Shamim avatar   
Sudipto Shamim
সুন্দরগঞ্জে যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলামের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এক জামায়াত নেতার মা ও বোন।..
গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলামের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এক জামায়াত নেতার মা ও বোন। এ ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
 
ঘটনাটি গত শুক্রবার (২ মে) বিকেলে উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের চাচিয়া মীরগঞ্জ গ্রামের বালাপাড়ায় ঘটেছে।
 
অভিযুক্ত আমিনুল ইসলাম (৪৫) ওই গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে ও সুন্দরগঞ্জ পৌর যুবলীগের নেতা।
 
স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, পাশাপাশি বাড়িতে বসবাস করলেও মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলামের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে তার চাচা আকবার আলী (৭০) স্ত্রী, দুই মেয়ে ও জামাই সাজু মিয়াকে নিয়ে জামাইয়ের কেনা জমিতে বসবাস করে আসছেন।
 
শুক্রবার বিকেলে পাশের বাড়ির একটি ছাগলকে ভুলবশত চাচি আম্বিয়া ও চাচাতো বোন পারভিনের বলে ধারণা করে আমিনুল ইসলাম তাদের বাড়িতে গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। এসময় তারা প্রতিবাদ করলে আমিনুল ও তার স্ত্রী সুমি হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে দু’জনকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। এতে মা ও মেয়ের মাথায় গুরুতর জখম হয় এবং তারা রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে আশপাশের লোকজন আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
 
সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের জামায়াত নেতা ছকু মিয়া বলেন, ‘আমার মা ও ছোট বোনকে নির্মমভাবে মারধর করে গুরুতর জখম করা হয়েছে। তাদের বাহুতেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মায়ের মাথায় ১৪টি এবং বোনের মাথায় ৭টি সেলাই পড়েছে। এর সুষ্ঠু বিচার হওয়া উচিত।’
 
এদিকে, থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পারভীনের স্বামী সাজু মিয়া। তিনি বলেন, ‘আমি ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলাম না, কাজে গিয়েছিলাম। বাড়িতে ফেরার পর জানতে পারি যুবলীগ নেতা আমিনুল আমার স্ত্রী ও শ্বাশুড়িকে লোহার রড ও ছোড়া দিয়ে নির্মমভাবে মারধর করেছে। এটা প্রথম ঘটনা নয়। আমরা যখন আগের বাড়িতে থাকতাম, তখন প্রায়ই গালিগালাজ করতো। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর একবার আমার মাকেও মারধর করেছিল। তার অত্যাচারে বাধ্য হয়ে আমার বাবা-মা গুচ্ছগ্রামে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। আমি নিজেও নিরাপত্তার কারণে সেই বাড়ি ছেড়ে অন্য জায়গায় বসবাস শুরু করি। কিন্তু সেখানেও গিয়ে আমিনুল বেদম মারপিট করলো। আমি এর সঠিক ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি।’
 
এব্যাপারে তারাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘মারপিটের ঘটনাটি লোকমুখে শুনেছি। তবে বিষয়টি নিয়ে দু’পক্ষের কেউ এখনো আমাকে কিছু জানায়নি।’
 
এ বিষয়ে সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাকিম আজাদ বলেন, ‘আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
 
نظری یافت نشد