close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

যু দ্ধ বিরতির ঘোষণা ট্রা ম্পে র, নেতানিয়াহুর নীরবতা

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিলেও ইসরাইল চুপ। নেতানিয়াহুর নীরবতা ঘিরে রহস্য। ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চলছে, আতঙ্কে কাঁপছে বীরশেবা। তাহলে কোথায় যুদ্ধবিরতি?..

মধ্যপ্রাচ্যে যখন রক্তগঙ্গা বইছে, তখন এক অপ্রত্যাশিত ঘোষণা দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তিনি দাবি করেছেন, ইসরাইল ও গাজার মধ্যকার ভয়াবহ যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ‘যুদ্ধবিরতি’র পথ তৈরি হয়েছে এবং তা কার্যকর। কিন্তু এই ঘোষণার পরপরই চমক সৃষ্টি হয় যখন দেখা যায়—ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এ বিষয়ে একেবারেই নিরুত্তর।নেতানিয়াহুর এই নীরবতা নিয়েই শুরু হয়েছে বিশ্লেষণ, সন্দেহ আর সমালোচনার ঝড়। ইসরাইলের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য জেরুজালেম পোস্ট জানিয়েছে, ট্রাম্পের ঘোষণার পর নেতানিয়াহু একটি জরুরি নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার বৈঠক করেন, যেখানে মন্ত্রীদের স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়—‘যুদ্ধবিরতি নিয়ে কেউ কোনো মন্তব্য করবে না।’

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই নিরবতা আসলে কোনো কূটনৈতিক কৌশল, নাকি যুদ্ধের ভেতরে লুকিয়ে থাকা অস্থিরতা ও বিভ্রান্তি ঢাকার প্রয়াস—তা এখনো পরিষ্কার নয়।

এদিকে ইরান যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে শর্তযুক্ত সাড়া দিয়েছে। তারা জানায়, ইসরাইল যদি হামলা বন্ধ করে, তবে তারাও প্রতিক্রিয়া বন্ধ রাখবে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন দাবি করেছে—‘ট্রাম্প আসলে যুদ্ধবিরতি চাপিয়ে দিয়েছেন ইসরাইলের উপর।’

ঘোষণায় ‘যুদ্ধবিরতি’ শোনা গেলেও, বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। ইসরাইলের বীরশেবা শহরে রাতভর একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন এবং অনেকেই আহত হয়েছেন। শহরে বাজতে থাকে সাইরেন, মানুষ ছোটে বোমা সেল্টারের দিকে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে জনজীবনে।

একজন বীরশেবা বাসিন্দা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন,যদি যুদ্ধবিরতি হয়, তাহলে এত বোমার শব্দ কোথা থেকে আসে? আমরা তো শান্তি চাই, কিন্তু চারপাশে শুধু আতঙ্ক।

বিশ্লেষকদের মতে, নেতানিয়াহুর এহেন আচরণ ইঙ্গিত দেয় যে, ট্রাম্পের ঘোষণায় তাদের পূর্ণ সম্মতি নেই। অন্যদিকে অনেকের মতে, নেতানিয়াহু এখন এমন এক চাপে আছেন—যেখানে নিজ দেশের নিরাপত্তা চাওয়া, আন্তর্জাতিক চাপে মাথা নত না করা এবং রাজনৈতিক সমীকরণ সবকিছুর ভারে জর্জরিত।

এক আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক বিশ্লেষক বলেন,যদি সত্যিই যুদ্ধ থেমে যেত, ইসরাইল প্রথমেই এটিকে কূটনৈতিক বিজয় হিসেবে ঘোষণা দিত। তাদের নিরবতা প্রমাণ করে—সবকিছু এখনো জটিলতার মধ্যেই রয়ে গেছে।

ট্রাম্পের ঘোষণায় শান্তির একটি আশা দেখা দিলেও বাস্তবে পরিস্থিতি এখনও জ্বলন্ত। নেতানিয়াহুর নীরবতা এই আগুনকে আরও ঘনীভূত করে তুলেছে। যুদ্ধ থেমেছে কি থামেনি, তা সময়ই বলবে। তবে এখনই বলা যায়—এই ‘যুদ্ধবিরতি’ যেন কেবল শব্দের খেলা, বাস্তবতার সঙ্গে যার মিল কম, নাটকীয়তা বেশি।

Tidak ada komentar yang ditemukan