close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

যশোরের উদ্ধারকৃত ১০০(একশ’) কেজি গাঁজার চালানে মিন্টুর সাথে আরো কেউ জড়িত থাকার আশঙ্কা এলাকাবাসীর..

সুভাষ মজুমদার avatar   
সুভাষ মজুমদার
আলোচিত মাদক কারবারি শেখহাটির মিন্টু গাজী আটক হওয়ার পর নানামুখি বক্তব্য আসছে ওই এলাকা থেকে..

যশোরের শেখহাটি হাইকোর্ট মোড় জামরুলতলার একটি কাপড়ের দোকান থেকে ১শ’ কেজি গাঁজার বিশাল চালানসহ আলোচিত মাদক কারবারি শেখহাটির মিন্টু গাজী আটক হওয়ার পর নানামুখি বক্তব্য আসছে ওই এলাকা থেকে। ওই চালানের সাথে এলাকার আর কোন কোন মাদক কারবারি সম্পৃক্ত সে প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে স্থানীয়দের মধ্যে।


এলাকার লোকজনের দাবি ১শ’ কেজির চালান মিন্টুর একার পক্ষে বিক্রি সম্ভব ছিলো না। ওই চালানে ওই এলাকার একাধিক মাদক কারবারি জড়িত বলে উল্লেখ করে তারা জানিয়েছেন, মিন্টু চক্রের ডজনখানেক কারবারি শেখহাটি এলাকা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এমনকি মিন্টুর স্ত্রী পরিচালিত কাপড়ের দোকান থেকে ওই গাঁজার চালান উদ্ধার হলেও স্ত্রীকে এখনও আটক করা হয়নি। ঘটনার পর থেকে স্ত্রী পলাতক বলে স্থানীয় ও পুলিশের দাবি।ওই এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার ও চিহ্নিত কারবারিদের আটক দাবি স্থানীয় অভিভাবক মহলের।থানা সূত্র থেকে তথ্য মিলেছে, শেখহাটি মসজিদ মোড়ের মৃত লাভলু গাজীর ছেলে মিন্টু গাজী দীর্ঘদিন মাদকের রমরমা ব্যবসা করে ওই এলাকা সয়লাব করে আসছিল। এলাকার উঠতি যুবক, এমনকি স্কুল কলেজ পড়ুয়াদের হাতেও মাদক ধরিয়ে দিয়ে আসছিল এই মিন্টু। আগেও সে কয়েক দফা আটক হলেও জামিন পেয়ে একই কারবারে লিপ্ত হয়। এই মিন্টু একটি সংঘবব্ধ সিন্ডিকেট তৈরি করে নানা ভার্সনের মাদক কারবার করে কাড়ি কাড়ি টাকা উপার্জন করেছে। তার অপতৎপরতায় এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছিল। এছাড়া সম্প্রতি সে গাঁজা সিন্ডিকেট তৈরি করে করে বড় বড় চালান এনে যশোরে বিক্রি করছে এমন অভিযোগ যায় র‌্যাব ৬ যশোরের কাছে। এ তথ্যে গত ১৯ জুন র‌্যাব ৬ যশোরের একটি চৌকস দল শেখহাটি জামরুলতলার রঙধনু মার্কেটের একটি কাপড়ের দোকানে অভিযান চালিয়ে একশ’ কেজি গাঁজাসহ মিন্টু গাজীকে আটক করে। ওই কাপড়ের দোকানটি মিন্টু তাকে করে দেয়।


স্থানীয়দের দাবি, মাদকের টাকায় পরিচালনা করা ওই কাপড়ের দোকানকে মাদকের ডেরা হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল মিন্টু। আর সে মাদক ব্যবসার বলয় তৈরি করে গোটা এলাকায়। কাপড়ের গজের মধ্যে বিশেষ কৌশলে রাখা হয়েছিল ওই গাঁজা। গাঁজাসহ মিন্টুকে আটক করে ওই দিনই থানায় দিয়ে মাদক আইনের মামলা দেয়া হয় র‌্যাব ৬ যশোরের পক্ষে। মামলটি তদন্ত শুরু করেছে যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশ।কিন্তু বিশাল ওই গাঁজা চালানের মামলায় নতুন করে কাউকে আটক করেনি পুলিশ। এমনকি মিন্টুর স্ত্রীকেও আটকের আওতায় আনা হয়নি, যিনি ওই কাপড়ের দোকানটি পরিচালনা করছিলেন। স্থানীয়দের দাবি, বিশাল গাঁজার চালানে শুধু একা মিন্টু জড়িত নয়। তার সাথে তার আরো ডজনখানেক সহযোগী জড়িত, যারা ওই গাঁজা খুচরা হিসেবে বিক্রি করে। মিন্টুর সহযোগী ডজনখানেক মাদক কারবারি ওই এলাকা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ১২ মামলার আসামি মিন্টু গাজীর সহযোগী জামরুলতলা সংলগ্ন এ ব্লকের গাঁজা কারবারি আব্দুর রাজ্জাকসহ ১২ জনের সিন্ডিকেটে অভিযান চালানোর দাবি অনেক অভিভাবকের।এ ব্যাপারে যশোর কোতোয়ালি থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত কাজী বাবুল হোসেন জানিয়েছেন, মিন্টু গাজীকে আটক করে র‌্যাবের দেয়া মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে যত্ন সহকারে। ওই গাঁজার চালানে আর কেউ জড়িত কিনা খোঁজ নেয়া হচ্ছে। তদন্তে কারো নাম আসলে আটক করা হবে। এছাড়া শেখহাটিসহ বিভিন্ন এলাকায় কোতোয়ালি পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযান চলমান রয়েছে।

कोई टिप्पणी नहीं मिली