যশোরে উত্ত্যক্ত করায় ক্ষিপ্ত হয়ে বিয়াইয়ের চোখ তুলে ফেলার অভিযোগ উঠেছে বেয়াইনের বিরুদ্ধ। ২৯ মার্চ শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় দিকে বাহাদুরপুর জেস গার্ডেন পার্কের পেছনে এই ঘটনাটি ঘটেছে। এতে গুরুত্বর আহত অবস্থায় বিয়াই মোঃ সিরাজুল ইসলাম কুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সিরাজুল ইসলাম কুটি বারান্দীপাড়া, কদমতলা এলাকার মৃত রবিউল ইসলামের ছেলে। ভুক্তভুগী সিরাজুল ইসলাম কুটি হাঁসি বেগমের মেজ মেয়ের শ্বশুর। ঘটনার পর হাঁসি বেগম নিজেই পুলিশের কাছে ধরা দেন। স্থানীয়রা জানিয়েছে, হাঁসি বেগমের বাড়ি থেকে হঠাৎ মারামারি ও কান্নাকাটির শব্দ পান তারা। অনেকে সেখানে যেয়ে দেখেন একে অপরকে লোহার পাইপ দিয়ে মারপিট করছে। এর মাঝে সিরাজুলের এক চোখ ক্ষতবিক্ষত ও রক্তবস্থা। এছাড়া হাঁসি বেগমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের দাগ।
পরে স্থানীয়রা তাদেরকে নিভৃত করেন। এবং গুরুত্বর অবস্থায় সিরাজুলকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন ও হাঁসি বেগম নিজেই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। এদিকে, হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় সিরাজুল ও তার স্বজনেরা জানান, পূর্বশত্রুতার জেরে হাঁসি, তার মেয়ে মনিকা ও দুলাভাই মনিরুল সিরাজুলকে শাবল দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন। এছাড়া চোখেও গুরুতর জখম করেন। অন্যদিকে, হাঁসি বেগম অভিযোগ করেন, সিরাজুল দীর্ঘদিন ধরে তাকে নানা ভাবে উত্ত্যক্ত ও কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে তার ওপর হামলা চালায়। এ সময় তিনি আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন। তখন তার হাত সিরাজুলের চোখে লাগে। এছাড়া তাকেও মারপিট করা হয়েছে বলে তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসনাত বলেন, মারামারির খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে গিয়ে দেখতে পান, সিরাজুল চোখে মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। তাকে খুলনায় পাঠানো হয়। এছাড়া হাঁসিকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
close
ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!
Nema komentara



















