close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

যশোরে আওয়ামী লীগের গোপনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আয়োজনের অভিযোগ, বিএনপির ধাওয়া..

সুভাষ মজুমদার avatar   
সুভাষ মজুমদার
যশোর সদর উপজেলার নতুনহাট বপাবলিক কলেজ এলাকায় আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে..

যশোর সদর উপজেলার নতুনহাট বপাবলিক কলেজ এলাকায় আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার সন্ধ্যায় ওই এলাকায় একদল যুবক সমবেত হয়ে গোপনে দলীয় কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে ছুটে যান বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে যুবকেরা পাটক্ষেতদিয়ে পালিয়ে যায় বলে দাবি করা হয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, এমন কিছু ঘটেনি, এটি ছিল একটি ভুল বোঝাবুঝি।
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, স্থানীয় আওয়ামী লীগ-সমর্থক যুবকেরা গোপনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের উদ্দেশ্যে কলেজ এলাকায় জড়ো হয়েছিল। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ১৫ থেকে ২০টি মোটরসাইকেলযোগে বিএনপির নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের ধাওয়া দেন। এতে যুবকেরা পালিয়ে যায় এবং এলাকায় এক ধরনের উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। 
দেয়াড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম সাগর জানান, দলীয় নির্দেশনা ছিল দেশের কোথাও আওয়ামী লীগ যেন কোনো ধরনের কর্মসূচির মাধ্যমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে। সেই নির্দেশনার আলোকে ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে তারা সতর্ক অবস্থানে ছিলেন।
তিনি বলেন, খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। উপস্থিত হয়ে দেখি, প্রায় ১৫-২০ জন যুবক আমাদের দেখে দৌড়ে পালিয়ে যায়। আমরা তাদের চিনতে পারিনি। তবে ধারণা করছি, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা চুন্নুর নেতৃত্বে তারা এসেছিল।
এ সময় বিএনপির বহরে অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন ইউপি সদস্য ও বিএনপি নেতা এনামুল ইসলাম, ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আলমগীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর, ৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি সোহেল হোসেন, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি আজাদ হোসেন এবং ছাত্রদল নেতা ইব্রাহিম হোসেন।

অন্যদিকে, বিষয়টি নিয়ে চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মামুনুর রশীদ ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, খবর পেয়ে তার নেতৃত্বে পুলিশের একটি বিশেষ টিম ঘটনাস্থলে যায়। স্থানীয়ভাবে অনুসন্ধান করে তারা দেখতে পান, ওইদিন কলেজে এইচএসসি ২০২৫ সালের বিদায়ী অনুষ্ঠান চলছিল। ছাত্রছাত্রীরা দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সেখানে উপস্থিত ছিল। চুন্নু নামের এক আওয়ামী লীগ নেতা সেখানে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে গিয়েছিলেন। সেখানে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এটি ছিল একটি ভুল বোঝাবুঝি।

Ingen kommentarer fundet