অবস্থানরত যাত্রী ও স্থানীয়দের মধ্যে হতভম্ব পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
বিস্ফোরণের সময় বহু যাত্রী ট্রেনের অপেক্ষায় ছিলেন। হঠাৎ ঘটে যাওয়া ঘটনাটি তাঁদের মধ্যে ভয় ও উদ্বেগ তৈরি করে। কেউ কেউ দ্রুত প্লাটফর্ম ত্যাগ করে নিরাপদ স্থানে সরে যান। বিস্ফোরণের পর কয়েক মিনিট স্টেশনের ভেতর ও বাইরে শঙ্কা ও উৎকণ্ঠা বাড়তে থাকে।
খবর পেয়ে নওয়াপাড়া জিআরপি পুলিশ ফাঁড়ি, অভয়নগর থানা পুলিশ এবং নওয়াপাড়ার নিকটবর্তী রাজঘাট সেনা ক্যাম্পের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন। ঘটনাস্থল ঘিরে রেখে বিস্ফোরণের প্রকৃতি, সম্ভাব্য উপাদান এবং এর পেছনের উদ্দেশ্য খতিয়ে দেখা শুরু হয়।
পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই দুর্বৃত্তরা এই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো ব্যক্তি বা সংগঠন ঘটনার দায় স্বীকার করেনি। ঘটনার নেপথ্যে কারা জড়িত তা শনাক্তে তদন্ত চলছে।
এ বিষয়ে অভয়নগর থানার ওসি রবিউল ইসলাম বলেন,
“ঘটনার খবর পাওয়ার পর আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। বিস্ফোরণের স্থান পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত—তা শনাক্তে তদন্ত চলছে। প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
রেলওয়ে স্টেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তদন্ত চলমান থাকলেও রেল চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে।
স্থানীয়দের দাবি, সাম্প্রতিক সময়ে এলাকায় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড কিছুটা বেড়েছে, যা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাঁদের প্রত্যাশা, দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দায়ীদের শনাক্ত করা হবে।
এ ঘটনায় কেউ আহত না হলেও এলাকায় এখনো আতঙ্কের পরিবেশ বিরাজ করছে। পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাটিকে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।



















