শনিবার রাত ৮টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় শুরু হয়েছে একটি উচ্চপর্যায়ের জরুরি বৈঠক। উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা এই বৈঠকে উপস্থিত হয়েছেন এবং সূত্র বলছে, বৈঠকের এজেন্ডা ঘিরে রয়েছে জাতীয় পর্যায়ে আলোড়ন তুলতে সক্ষম বেশ কিছু স্পর্শকাতর বিষয়।
বৈঠকের আহ্বান জানানো হয় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে। একটি বিবৃতিতে বলা হয়, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে রাত ৮টায় যমুনা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে। এ বৈঠকের পরেই যমুনা ভবনের বাইরে একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জাতিকে অবহিত করা হবে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।
যদিও বৈঠকের আনুষ্ঠানিক আলোচ্যসূচি প্রকাশ করা হয়নি, তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং প্রশাসনিক সূত্রগুলো বলছে, আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবির বিষয়টি। সাম্প্রতিক সময়ে দেশজুড়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের লাগাতার অবরোধ, ধর্মভিত্তিক সংগঠন ও জাতীয়তাবাদী জোটের বিক্ষোভ—সব মিলিয়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা তুঙ্গে।
বিশেষ করে ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করো’—এই দাবিতে শাহবাগ ও বিভিন্ন শহরে যেভাবে প্রতিবাদ, মিছিল ও অবরোধ দেখা গেছে, তা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে এক ভিন্ন রূপ দিয়েছে। এই অবস্থায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সম্ভাবনাও আজকের বৈঠকে গুরুত্ব পেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে, বৈঠকে আরও আলোচনার বিষয় হতে পারে আন্তর্জাতিক ইস্যু—বিশেষ করে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে চলমান উত্তেজনা ও ভূরাজনৈতিক উদ্বেগ। বাংলাদেশের ওপর এই অঞ্চলের ঘটনাবলীর সম্ভাব্য প্রভাব নিয়েও উপদেষ্টা পরিষদ তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ঠিক করতে পারে।
বৈঠকের সময় পুরো যমুনা ভবন ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টারা, নিরাপত্তা বিশ্লেষক এবং প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
সাধারণ মানুষ এবং রাজনৈতিক মহল এখন তাকিয়ে আছে বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনের দিকে।
রাতেই এই ব্রিফিংয়ে হয়তো খোলাসা হবে দেশের রাজনৈতিক অদূর ভবিষ্যতের রূপরেখা—আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ ঘোষণা হবে কি না, কিংবা গঠিত হবে কি অন্তর্বর্তী সরকার—সব প্রশ্নের উত্তর মিলতে পারে এই ঘোষণাতেই।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক আকাশে এখন এক অজানা উত্তেজনার ছায়া। যমুনার বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত আসে, সেটিই নির্ধারণ করবে সামনে দেশের গতি কোন দিকে এগিয়ে যাবে।
আপনি যদি এই মুহূর্তের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আপডেট জানতে চান, এই খবর চোখ রাখার মতোই।



















