‘ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট’ (ফেমা) আইন ভাঙার অভিযোগে এই জরিমানা করা হয়। তবে সেই অর্থ বিসিসিআইকে দিতে হবে—এমন দাবি করে এবার ভারতের শীর্ষ আদালতের (সুপ্রিম কোর্ট) শরণাপন্ন হয়েছেন মোদী।
ললিত মোদীর যুক্তি, ইডির করা জরিমানার সময় তিনি বিসিসিআইয়ের কর্তা ছিলেন। তাই সংস্থার পক্ষ থেকেই এই জরিমানার অর্থ বহন করা উচিত। বিসিসিআইয়ের সংবিধান অনুযায়ীও এর যৌক্তিকতা আছে বলে দাবি করেন তিনি।
এর আগেও একই দাবি নিয়ে তিনি বোম্বে হাই কোর্টে আবেদন করেন। তবে সেই আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। শুধু খারিজই নয়, আদালতের মূল্যবান সময় নষ্ট ও বোর্ডকে হেয় করার অভিযোগে তাকে ১ লাখ রুপি জরিমানাও করা হয়।
বোম্বে হাই কোর্টের দুই বিচারপতি এমএস সোনাক ও জিতেন্দ্র জৈনের বেঞ্চ রায়ে বলেন, ললিত মোদীর আবেদনে কোনও সত্যতা নেই। সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন একটি আবেদন করেছেন তিনি। শুনানিতে ২০০৫ সালের সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়ের উদ্ধৃতি দিয়ে বিচারপতিরা জানান, ভারতীয় সংবিধানের ১২ নম্বর ধারা অনুযায়ী বিসিসিআই একটি স্বশাসিত সংস্থা, কোনও সরকারি ‘স্টেট’ বা শাখার আওতায় পড়ে না। ফলে বিসিসিআইকে এ বিষয়ে কোনও নোটিশ পাঠানোরও সুযোগ নেই।
বিচারপতিরা আরও বলেন, ভবিষ্যতে যেন এমন ভিত্তিহীন আবেদন না করেন, সেই বিষয়ে ললিত মোদীকে সতর্কও করা হয়েছে।