জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় গাবুরা ইউনিয়নে অর্ধ-বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা avatar   
গাবুরা ইউনিয়নে জলবায়ু সহনশীল দলের অর্ধ-বার্ষিক সভায় পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় শ্যামনগরের গাবুরা ইউনিয়নে জলবায়ু সহনশীল দলের অর্ধ-বার্ষিক সভা মঙ্গলবার (২৪ জুন '২৫) অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় স্থানীয় জলবায়ু সহনশীল ফোরামের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন, যেখানে বিগত ছয় মাসের কার্যক্রমের অগ্রগতি মূল্যায়ন করা হয়েছে এবং পরবর্তী ছয় মাসের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

সভায় আলোচনায় উঠে আসে খরা, লবণাক্ততা ও বন্যার ঝুঁকি মোকাবেলায় স্থানীয় অভিযোজন কৌশল, জলবায়ু সহনশীল অবকাঠামো নির্মাণ এবং নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির বিষয়গুলো। ফোরামের সভাপতি শেখ আমির হোসেন সভায় সভাপতিত্ব করেন এবং তিনি বলেন, 'জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের বাস্তবতা। তাই স্থানীয়ভাবে প্রস্তুত থাকাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।'

সভায় সম্পাদক মো: আমজাদ হোসেন, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মো: হাবিবুল্লাহ বাহার, অধিপরামর্শ সম্পাদক মো: রাশেদ গাজী, নির্বাহী সদস্য মনোয়ারা খাতুন সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন। তারা লবণাক্ত জমিতে সহনশীল ফসল চাষে সম্প্রদায়ভিত্তিক উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন।

এই অর্ধ-বার্ষিক সভার মাধ্যমে ফোরামের সদস্যরা জলবায়ু সহনশীল উন্নয়নে জনগণের অংশগ্রহণমূলক কার্যক্রমকে আরও সুসংহত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। তারা জানিয়েছেন যে, স্থানীয় জনগণকে সাথে নিয়ে পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

গাবুরা ইউনিয়ন বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যাগুলোর একটি প্রান্তিক উদাহরণ হিসেবে পরিচিত, যেখানে খরা এবং লবণাক্ততা নিয়ন্ত্রনে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। গত কয়েক বছরে এই অঞ্চলে বিভিন্ন জলবায়ু সহনশীল অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে টেকসই বাঁধ এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা।

সভায় বক্তারা উল্লেখ করেন যে, স্থানীয় নারীদের ক্ষমতায়ন এবং তাদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির মাধ্যমে জলবায়ু সহনশীল উদ্যোগ আরও কার্যকর হতে পারে। এই উদ্যোগগুলো নারীদেরকে নেতৃত্বের সুযোগ প্রদান করবে এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করবে।

ফোরামের সদস্যরা আরও জানান যে, ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় এমন উদ্যোগগুলোকে আরও সম্প্রসারণ করা হবে এবং স্থানীয় সরকারের সাথে সমন্বয় বাড়িয়ে কাজ করা হবে।

No se encontraron comentarios