মৃতরা হচ্ছেন শালচুড়া গ্রামের নীলমহল কোচের ছেলে নীরঞ্জন কোচ (৩৫) ও পার্শ্ববর্তী রাংটিয়া গ্রামের নীপুরাম কোচের ছেলে নারায়ণ কোচ (৪৫)। তারা দুজন সম্পর্কে ভায়রা ভাই।
এ ঘটনায় রাংটিয়া গ্রামের মেদিনাথ কোচের ছেলে মহাদেব কোচ (২৫) নামে আরও একজন আহত হয়েছেন। দুজন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল-আমীন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঝিনাইগাতী উপজেলার শালচূড়া ভুইয়াবাড়ি এলাকায় পরিবারের পানির চাহিদা মেটাতে ৩/৪ দিন ধরে নিজ বাড়িতে প্রায় ৪০ ফুট গভীরতার নতুন কুয়া খুঁড়ছিলেন নারায়ণ কোচ। রোববার বিকেল ৪টার দিকে নারায়ণ কোচ কুয়াটি পরিস্কার করাসহ কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন করতে ভেতরে নামেন। নামার পরপরই তিনি অক্সিজেনের অভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বাঁচাতে কুয়ার ভেতরে নামে তার ভায়রা ভাই নীরঞ্জন কোচ। এসময় দুজনই ভেতরে অক্সিজেনের অভাবে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তাদের উদ্ধার করতে মহাদেব কোচ নামে আরেকজন শ্রমিক দড়ি নিয়ে নিচে নামার চেষ্টা করলে তিনিও অসুস্থ হয়ে কোনোরকমে ওপরে ওঠেন। পরে স্থানীয়রা ঝিনাইগাতী উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে নারায়ণ কোচ ও নীরঞ্জন কোচকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন।
ঝিনাইগাতী ফায়ার সার্ভিস এ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের টিম লিডার মো. আব্দুল্লাহ আল জামান বলেন, আমরা বিকেল ৫টা ৫ মিনিটে খবর পেয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে কুয়ার ভেতরে দুজনকে দেখতে পাই। পরে তাদেরকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে অক্সিজেন স্বল্পতার কারণেই তারা মারা গেছেন।
এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী থানার ওসি মো. আল-আমীন বলেন, মৃতের পরিবার বিনা ময়নাতদন্তে লাশ হস্তান্তরের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে
close
কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!
לא נמצאו הערות