ঝালকাঠি: দীর্ঘ প্রায় এক দশক পর নতুন বেতন কাঠামো প্রণয়নের দাবি এবং 'জাতীয় বেতন কমিশন–২০২৫'-এর প্রস্তাবনা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ ও বাস্তবায়নের দাবিতে ঝালকাঠির জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারী সমিতি (বাকাসস), ঝালকাঠি জেলা শাখা। সোমবার সকালে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মমিন উদ্দিনের হাতে এই স্মারকলিপি তুলে দেওয়া হয়। স্মারকলিপি হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন বাকাসস ঝালকাঠি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মৌ: মেহেদী হাসান এবং সভাপতি শাহজামাল। উল্লেখযোগ্য তিনটি প্রধান বিষয়কে এ স্মারকলিপির কেন্দ্রবিন্দু করে উপস্থাপন করা হয়েছে।
নীচু বেতনভুক্ত কর্মচারীদের আর্থিক সংকটে উদ্বেগ স্মারকলিপিতে বিশেষভাবে উচ্চারিত হয়েছে। এটি বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয় যে, ২০১৫ সালে ৮ম জাতীয় পে-স্কেল ঘোষণার পর থেকে দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। এই দীর্ঘ সময়ে নতুন বেতন কাঠামো প্রণয়ন না হওয়ায় নিম্নবেতনভুক্ত বিপুল সংখ্যক সরকারি কর্মচারী মারাত্মক আর্থিক সংকটে পড়েছেন এবং তাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা বাধাগ্রস্ত হয়েছে, যা তাদের আর্থিক অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে তুলেছে। এভাবে একই বাজারব্যবস্থায় জীবিকার ব্যয় বৃদ্ধি পেলেও আর্থিক সামর্থ্য স্থির রয়ে গেছে, যা কর্মচারীদের ক্রমেই চাপে ফেলে দিয়েছে।
স্মারকলিপির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিকের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে যে অষ্টম পে-স্কেল কার্যকর হওয়ার পর বহু কর্মচারী তাদের গ্রেডের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছানোর পর বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে তাদের দৈনন্দিন জীবনে আর্থিক এবং মানসিকভাবে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের বার্ষিক ইনক্রিমেন্টের পথে বাধা সৃষ্টি হওয়ায় তাদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে, যা কর্মদক্ষতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এই পরিস্থিতির প্রতিকার হিসেবে বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট কাঠামোতে যৌক্তিক এবং ন্যায্য পুনর্গঠন প্রয়োজন বলে স্মারকলিপিতে জোর দাবি জানানো হয়েছে।
এরপর, তাদের স্মারকলিপির মাধ্যমে বাকাসস একটি ন্যায্য ও বৈষম্যহীন বেতন কাঠামোর প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে। সংগঠনটি এই বিষয়ে আশাবাদী যে বেতন কমিশন–২০২৫ যেন শুধু বেতন বৃদ্ধির মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে, বরং এটি এমন একটি কাঠামো নির্ধারণ করবে যা সব কর্মচারীর জন্য ন্যায়সঙ্গত, বৈষম্যহীন, যুগোপযোগী এবং টেকসই হবে। খ্রিস্টীয় ত্রৈমাসিকে নতুন পে-স্কেল বাস্তবায়নের পাশাপাশি কর্মচারীদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নকে নিশ্চিত করার অতীব প্রয়োজনীয়তার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছে। ফলশ্রুতিতে, অবিলম্বে ৯ম জাতীয় পে-স্কেল কার্যকর করার দাবি জানানো হয়েছে, যা কর্মচারীদের জীবনে আর্থিক নিরাপত্তা এবং মানসিক শান্তি বয়ে আনবে।



















