শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যার আগে লালদীঘি মাঠের অস্থায়ী মঞ্চে কুমিল্লার সদরের আরেক বলী রাশেদকে পরাজিত করে তিনি আবারো চ্যাম্পিয়ন হন। গতবারের আসরেও কুমিল্লার বাঘা শরীফ রাশেদকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন।
বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে এবারও ফাইনালে মুখোমুখি হন বাঘা শরীফ ও রাশেদ বলী। বিকেল ৪টায় নগরের লালদীঘি মাঠের অস্থায়ী মঞ্চে এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন ১২০ জন বলী। টানা সোয়া দুই ঘণ্টা ধরে চলে বলী খেলা। সন্ধ্যা ৬টার দিকে চ্যাম্পিয়নের ফলাফল ঘোষণা করেন মেলা কমিটির সদস্যরা।
আসর শুরুর আগেই নানা বয়সী দর্শকদের আগমনে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় লালদীঘির ময়দান।
এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী আয়োজনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ। প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
বৈশাখের তপ্ত রোদ উপেক্ষা করে বলীখেলা দেখতে দুপুর থেকে নগরের লালদীঘি ময়দান ছিল উপচেপড়া দর্শকের ভিড়। ঐতিহ্যবাহী এ বলীখেলা দেখতে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে এসেছেন হাজারো মানুষ। ঢোলের তালে তালে দর্শকদের উচ্ছ্বাসে মুখর ছিল পুরো মাঠ।
১৯০৯ সালে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী আব্দুল জব্বার সাওদাগরের এ বলী খেলার সূচনা করেন। সেই থেকে প্রতি বছরের বৈশাখ মাসের ১২ তারিখ এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
শত বছরেরও বেশি সময় ধরে চট্টটগ্রামে অনুষ্ঠিত হয়ে আসা ঐতিহাসিক জব্বারের বলি খেলা উপলক্ষে লালদীঘি মাঠে নির্মিত বিশেষ বালুর মঞ্চে শুরু হয় বলী খেলা। এই বলী খেলায় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে দেড় শতাধিক বলী অংশ নেন। সর্বশেষ ধাপে সন্ধ্যা ৬টায় কুমিল্লার রাশেদ বলীকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন বলী হিসেবে খেতাব অর্জন করেন বাঘা শরীফ বলী।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে চ্যাম্পিয়ন বলীর হাতে ট্রফি ও নগদ অর্থ পুরস্কার তুলে দেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহদাত হোসেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বলীখেলা আয়োজক কমিটির সদস্যসচিব, আবদুল জব্বার সওদাগরের নাতি শওকত আনোয়ার বাদল।
জব্বারের বলীখেলা ও মেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক, আব্দুল জব্বার সওদাগরের নাতি শওকত আনোয়ার বাদল জানান, বলীখেলার ১১৬তম আসরে এবার রেজিস্ট্রেশন করেছেন ১৪৭ জন বলী। এতে জাতীয় পর্যায়ের বলীরাও এবার অংশ নিয়েছেন।



















