close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

জাতিকে বিভক্তির ষড়"যন্ত্র রুখে দিতে জুলাই ঐক্যের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ভারতীয় প্রক্সি ও বিভাজন সৃষ্টিকারী দোসরদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে ‘জুলাই ঐক্য’ প্ল্যাটফর্মের ৮০টি সংগঠন ঘোষণা করেছে দেশজুড়ে গণপ্রতিরোধ কর্মসূচি। ৬ দিনের ক্যাম্পেইনের পর শাহবাগে হবে ঐতিহাসিক সমাবেশ।..

জাতিকে আর বিভক্ত হতে দেওয়া যাবে না—এই বার্তা নিয়েই সামনে এগিয়ে যাচ্ছে ‘জুলাই ঐক্য’। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক টানাপড়েন ও ষড়যন্ত্রমূলক পরিস্থিতিতে জাতির স্বাধীনতা ও সংহতি রক্ষার আহ্বান জানিয়ে শুক্রবার এক বিবৃতিতে এই প্ল্যাটফর্ম জানায়, আগামী ২৪ মে (শনিবার) থেকে দেশজুড়ে ৬ দিনব্যাপী অফলাইন ও অনলাইন ক্যাম্পেইন শুরু হচ্ছে। এর চূড়ান্ত পরিণতি হিসেবে আগামী ২৫ মে (রোববার) বিকেল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর শাহবাগে হবে বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশ

এই কর্মসূচির পেছনে রয়েছে একটি গভীর উদ্বেগ—জাতিকে বিভক্ত করার ষড়যন্ত্র ক্রমশই স্পষ্ট হচ্ছে। বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পর ভারতীয় প্রক্সি ও দেশীয় দোসররা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে থেকে বিভাজন সৃষ্টি করছে। যদিও শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন, তবুও তার রেখে যাওয়া ঘৃণিত প্রভাব এখনও সক্রিয়।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিরক্ত হয়ে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন। জুলাইয়ের রক্তের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের এই সংকটের মুহূর্তে ‘জুলাই ঐক্য’ মনে করে, রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত ছিল সরকারকে সহযোগিতা করা। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, এসব দল বরং সরকারকে দুর্বল করার চেষ্টায় লিপ্ত।


ঐক্যের ফাটল, ষড়যন্ত্রের গভীরতা

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, ৫ আগস্টের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে গড়ে উঠা প্ল্যাটফর্মগুলোতেই শুরু হয় অন্তর্ঘাত। এর ফলেই ‘জুলাই শক্তি’ দুর্বল হতে শুরু করে। এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে এখন সবচেয়ে প্রয়োজনীয় বিষয় হলো ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ।

‘জুলাই ঐক্য’ স্পষ্ট করে বলে, দেশ ও বিদেশ থেকে একযোগে ষড়যন্ত্র চলছে। ভারতের সহায়তায় বিভক্তি সৃষ্টির চেষ্টা অব্যাহত। এমনকি আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ঘোষণা করেছিলেন, আগামী ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে “জুলাইয়ের বিপ্লবী ঘোষণাপত্র” প্রকাশ হবে। এই ঘোষণার পর থেকেই ভারতপন্থী রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলো দিশেহারা হয়ে গেছে।

ভারতীয় হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি

জুলাই ঐক্য পরিষ্কার বার্তা দিয়েছে—যদি ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে ঘোষণাপত্র প্রকাশ না হয়, তবে তার দায়ভার নিতে হবে উপদেষ্টা পরিষদ ও সহযোগিতাকারী রাজনৈতিক দলগুলোকে। এ বিষয়ে তারা কোনো ধরনের আপোষে যেতে রাজি নয়।

এছাড়া সরকারি উপদেষ্টা পরিষদে বড় ধরনের পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে বলে দাবি করেছে তারা। ড. ইউনূসের নেতৃত্বকে আরও শক্তিশালী করতে ভারতীয় এজেন্ডায় ব্যস্ত উপদেষ্টাদের সরিয়ে নতুন করে সাজানো হবে উপদেষ্টা পরিষদ

‘জুলাই ঐক্য’ দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করেছে—আবারও প্রয়োজন হলে রক্ত দিতে প্রস্তুত তারা। এই বার্তা শুধু রাজনৈতিক মহল নয়, সরাসরি দেশের অভ্যন্তরীণ ও বহির্বিশ্বের শক্তিগুলোকে স্পষ্ট বার্তা দেয়। এটাই তাদের নতুন পথচলা—একটি বৈষম্যহীন, স্বার্থরক্ষিত বাংলাদেশ গড়ার সংকল্প।


পরবর্তী কর্মসূচি: দেশজুড়ে ক্যাম্পেইন ও শাহবাগে সমাবেশ

সারাদেশে থাকা জুলাই শক্তিগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে ২৪ মে থেকে ৩০ মে পর্যন্ত চলবে একটি সমন্বিত প্রচারণা কর্মসূচি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সরাসরি প্রচারণা ও স্থানীয় প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এই ক্যাম্পেইন পরিচালিত হবে।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচি হিসেবে ২৫ মে বিকেল সাড়ে ৩টায় শাহবাগে হবে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবাদ সমাবেশ, যেখানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এসে জড়ো হবে জুলাই শক্তির সমর্থকরা। এই সমাবেশে তুলে ধরা হবে ঘোষণাপত্র, উপদেষ্টা পরিষদ সংস্কারের দাবি, এবং দেশের অভ্যন্তরে চলমান ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জনগণকে প্রস্তুত থাকার বার্তা।

 উপসংহার:
এই মুহূর্তে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই—এটাই জুলাই ঐক্যের বার্তা। ভারতের দোসরদের সঙ্গে আপোষ নয়, প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের মাধ্যমেই গড়ে উঠবে একটি নতুন বাংলাদেশ—এমনটাই দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এই প্ল্যাটফর্ম।

Nenhum comentário encontrado


News Card Generator