close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

যারা আ.লীগ নি ষি দ্ধ চায় না তারা ফ্যাসিবাদী: হাসনাত আবদুল্লাহ....

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
শাহবাগে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে চলমান আন্দোলনকে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যের সংগ্রাম’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, যারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে চায় না, তারা এই দে..

রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে আজ শনিবার বিকেলে আবারো উত্তাল হয়ে উঠেছে ফ্যাসিবাদবিরোধী স্লোগানে। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ এক গণজমায়েতে স্পষ্ট করে বলেন, “বাংলাদেশ এখন দুই ভাগে বিভক্ত—বাংলাদেশপন্থী ও ফ্যাসিবাদপন্থী। যারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি জানায়, তারা প্রকৃত দেশপ্রেমিক। আর যারা এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে, তারা ফ্যাসিবাদের দোসর।”

বেলা ৩টার পর শুরু হওয়া এই গণজমায়েতে রাজধানীর নানা প্রান্ত থেকে অংশ নেয় সাধারণ মানুষ, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের কর্মী, এবং বিশিষ্ট নাগরিকরা। মঞ্চে দাঁড়িয়ে হাসনাত বলেন, “এটা কোনো দলের আন্দোলন নয়—এটা জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। শাহবাগ আজ আবার ইতিহাস লিখছে।”

“এই লড়াই কোনো একদিনের না—এটা জাতির অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই”

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধের প্রশ্নে আমাদের মতপথ যা-ই হোক, আজ আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ। কারণ এই দল শুধু রাজনৈতিক দল নয়, এটি এখন এক ফ্যাসিবাদী শক্তিতে পরিণত হয়েছে, যারা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করেছে, বিরোধীদের দমন করছে, মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “২০১৩ সালেও এই শাহবাগে আমরা ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি শুনেছিলাম। আজ আমরা সেই ফ্যাসিবাদকে বিদায় জানাতে চাই, চিরতরে। আজকের আন্দোলন হবে সেই পতনের সূচনা।”

চাপ ও ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা: “আমি যদি না থাকি, আপনারা লড়াই চালিয়ে যাবেন”

আন্দোলনের মাঝে নিজের শারীরিক দুর্বলতার কথাও উল্লেখ করেন হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, “আমি গত বৃহস্পতিবার রাত থেকেই এই রাস্তায়। অসুস্থ বোধ করছি। কিন্তু আমি আপনাদের বলছি, যদি কোনো ষড়যন্ত্র বা চাপে পড়ে আমার মুখ দিয়ে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা নেওয়া হয়—আপনারা থামবেন না। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বেন না।”

এই বক্তব্যের পর শাহবাগ মোড়জুড়ে উপস্থিত আন্দোলনকারীদের মধ্যে তীব্র সাড়া পড়ে। মুহুর্মুহু স্লোগানে তারা জানান দেন, “এই লড়াই থামবে না।”

জাতীয় ঐক্যের নতুন ধারা

শাহবাগের এই সমাবেশে এনসিপি ছাড়াও আরও কয়েকটি ছোট রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। তাদের বক্তব্যে এক বিষয়ই উঠে আসে—আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা ছাড়া গণতন্ত্র ফিরবে না।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ধরণের সম্মিলিত আন্দোলন দেশের রাজনীতিতে এক নতুন মোড় আনতে পারে। অনেকেই এই শাহবাগ আন্দোলনকে তুলনা করছেন অতীতের গণজাগরণ মঞ্চের সাথে, তবে এবার দাবি আরও সরাসরি এবং চূড়ান্ত—একটি দলকে রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করা।

 

আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে আজকের শাহবাগ সমাবেশ একটি নতুন মাত্রা পেয়েছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যের নামে সংগঠিত এই জনস্রোত শুধু একটি দলের বিরুদ্ধে নয়, বরং রাজনৈতিক কর্তৃত্ববাদ, দমননীতি, এবং ভোট-লুণ্ঠনের বিরুদ্ধে এক সংগ্রামের চিত্র তুলে ধরেছে।

হাসনাত আবদুল্লাহর বক্তব্য, শারীরিক অবস্থা, ও কঠিন বার্তা এই আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী ও আবেগপ্রবণ করে তুলেছে।
এখন প্রশ্ন একটাই—এই আন্দোলন কোথায় গিয়ে থামবে?

نظری یافت نشد