close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

জাকাত বণ্টনের ৮টি খাত: ইসলামে নির্ধারিত আদর্শ বিধান

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইসলামে জাকাত হলো সমাজে অর্থনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহপাক জাকাতের অর্থ ব্যয়ের নির্দিষ্ট ৮টি খাত বর্ণনা করেছেন। এই প্রতিবেদনে জাকাত বণ্টনের সেই নির্দিষ্ট ..

ইসলাম ধর্মের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে অন্যতম হলো জাকাত। এটি সমাজের দরিদ্র ও নিঃস্ব মানুষের মাঝে সম্পদ বণ্টনের একটি মহান বিধান। প্রত্যেক স্বাধীন, পূর্ণবয়স্ক মুসলমান নর-নারীকে নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে তার অংশবিশেষ গরিব ও দুস্থদের মাঝে বণ্টন করা ফরজ করা হয়েছে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহপাক জাকাত বণ্টনের ৮টি খাত নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন।

আল কোরআনের বর্ণনা অনুযায়ী জাকাত বণ্টনের ৮টি খাত নিম্নরূপ:

১. ফকির: যেসব ব্যক্তি নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক নন এবং দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটানোর জন্য সংগ্রাম করেন তাদেরকে ফকির বলা হয়। ফকিররা সমাজের অন্যতম অসহায় শ্রেণি, যারা জাকাত পাওয়ার প্রথম অধিকারী।

২. মিসকিন: মিসকিন হলো সম্পূর্ণ নিঃস্ব ব্যক্তি, যাদের কাছে একবেলার খাবারও নেই। তারা এতটাই অসহায় যে, ভিক্ষার মাধ্যমে জীবনযাপন করতে বাধ্য হন।

৩. আমেলীন: যারা ইসলামী সরকারের পক্ষ থেকে জাকাত সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং বিতরণের দায়িত্ব পালন করেন তাদেরকে আমেলীন বলা হয়। এই খাতে নিয়োজিত কর্মীদের পারিশ্রমিক জাকাতের অর্থ থেকেই প্রদান করা হয়।

৪. মুআলস্নাফাতুল কুলুব: নতুন মুসলিম যাদের ঈমান এখনও দৃঢ় হয়নি বা যারা ইসলাম গ্রহণে আগ্রহী, তাদের চিত্ত আকর্ষণের জন্য জাকাত প্রদান করা হয়।

৫. ক্রীতদাস মুক্তি: ক্রীতদাস বা অন্যায়ভাবে বন্দি ব্যক্তিদের মুক্তির জন্য জাকাতের অর্থ ব্যয় করা হয়।

৬. ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি: যারা বৈধ কারণে ঋণগ্রস্ত হয়েছেন এবং তাদের ঋণ পরিশোধ করার সামর্থ্য নেই, তাদের ঋণমুক্তির জন্য জাকাত প্রদান করা হয়।

৭. আল্লাহর পথে সংগ্রামকারী: নিঃস্ব মুজাহিদ, দ্বীনি শিক্ষারত শিক্ষার্থী এবং ইসলামের প্রচার ও প্রসারে নিযুক্ত আলেমদের সহায়তার জন্য জাকাত প্রদান করা হয়।

৮. অসহায় মুসাফির: ভ্রমণরত অবস্থায় আর্থিক সংকটে পড়া মুসাফিরদের প্রয়োজনীয় সহায়তার জন্য জাকাত প্রদান করা হয়।

উপসংহার: জাকাত হলো ইসলামিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। পবিত্র কোরআনে নির্ধারিত এই ৮টি খাত অনুসারে জাকাত বণ্টন করলে সমাজে অর্থনৈতিক ভারসাম্য ও মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করা সম্ভব। ইসলামের এই মহান বিধান সমাজে দারিদ্র্য দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

No se encontraron comentarios