close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

জা তিসংঘে যু ক্ত রা ষ্ট্রের ব্যাখ্যার প্রতিবাদ জানাল ই রা ন..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাখ্যা ‘আইনভিত্তিহীন’ দাবি করে তীব্র প্রতিবাদ জানালো ইরান। শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলাকে তারা দেখছে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হিসেবে।..

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন সামরিক হামলা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যে ব্যাখ্যা উপস্থাপন করেছে, তা সম্পূর্ণরূপে 'আইনবহির্ভূত ও ভিত্তিহীন' বলে কড়া ভাষায় নিন্দা জানিয়েছে ইরান।

জাতিসংঘে ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি আমির সাঈদ ইরাভানি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রেসিডেন্ট ও মহাসচিবের কাছে পাঠানো এক আনুষ্ঠানিক চিঠিতে স্পষ্ট করে জানিয়েছেন— যুক্তরাষ্ট্রের এই হামলা শুধু একটি সার্বভৌম দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন নয়, বরং এটি আন্তর্জাতিক আইনের সরাসরি লঙ্ঘন।

ইরান অভিযোগ করেছে, মার্কিন এই ব্যাখ্যা মূলত জাতিসংঘ সনদের ৫১ অনুচ্ছেদকে অপব্যবহার করে নিজেরাই আইনের ব্যাখ্যাকারী হিসেবে দাঁড়ানোর চেষ্টা। এ প্রসঙ্গে চিঠিতে বলা হয়, “যে যুক্তিতে এই হামলার বৈধতা দেখানো হয়েছে, সেটি আসলে আন্তর্জাতিক আইনের হত্যার সামিল।”

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়— ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত, এবং আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (IAEA) সাধারণ সম্মেলনে এই বিষয়ে একটি স্পষ্ট নীতিমালা গ্রহণ করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী, যে কোনো ধরনের হামলা কিংবা হামলার হুমকি আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন এবং সংস্থাটির বিশ্বাসযোগ্যতা ও নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ করে।

ইরানের প্রতিবাদের পাশাপাশি, এই ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নও। সংস্থাটির পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক নতুন প্রধান কায়া কাল্লাস এক বিবৃতিতে বলেন, “বলপ্রয়োগের যৌক্তিকতা ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আইন মানতেই হবে। শুধুমাত্র সন্ত্রাসবাদ বা আত্মরক্ষার অজুহাতে একতরফা সামরিক পদক্ষেপ বিশ্বব্যবস্থাকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।”

তিনি আরও বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে হামলার ব্যাখ্যা দিয়েছে, তা আন্তর্জাতিক আইনের দৃষ্টিকোণ থেকে শতভাগ বৈধ বলা যায় না। এর মানে, জবাবদিহিতা ও আন্তর্জাতিক কাঠামোর প্রতি শ্রদ্ধা বজায় রাখতে হবে, তা না হলে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই নিজেই বেআইনি হয়ে উঠবে।”

এই ঘটনায় বিশ্ব রাজনীতিতে এক নতুন উত্তেজনার সূচনা হয়েছে। ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার দীর্ঘদিনের বৈরিতা এবার জাতিসংঘের মঞ্চে আরও ঘনীভূত হয়ে উঠল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ঘটনা ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও আইনবিধি রক্ষার ক্ষেত্রে একটি টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়াতে পারে।

বিশ্ব রাজনীতিতে আইন মানার প্রশ্নে জিরো টলারেন্সের আহ্বান জানালেও, পরাশক্তিরা যখন নিজেদের মতো করে ব্যাখ্যা দাঁড় করায়— তখন ছোট দেশগুলোর সার্বভৌমত্ব বারবার প্রশ্নের মুখে পড়ে। ইরান এই মুহূর্তে স্পষ্টভাবে সেই প্রশ্নটাই জাতিসংঘে তুলে ধরেছে।

Nessun commento trovato


News Card Generator