close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

ইউনুসের চীন সফরে সাফল্যের উজ্জ্বল আলো

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও চীনা বিনিয়োগের আহ্বান
স্বাস্থ্যসেবায় নতুন স্বপ্ন
রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রেক্ষাপট
ব্যবসা, নিরাপত্তা ও বহুমুখী কৌশল
ভবিষ্যতের কৌশল ও চ্যালেঞ্জ..

দেশের প্রধান উপদেষ্টা ডা. মুহাম্মদ ইউনুস গত বুধবার চীন সফরে রওনা হয়েছেন। চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং-এর সঙ্গে বৈঠক, হাইনানের বাওও ফোরাম ফর এশিয়ায় বক্তব্য এবং বেইজিং সফর এই সফরের মূল আকর্ষণ।

ডা. ইউনুসের সফরের প্রধান লক্ষ্য হলো চীনের সাথে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বিস্তৃত করা। দেশের একান্ত চীনা অর্থনৈতিক জোনে বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে আলোচনা এবং বিভিন্ন মৌখিক চুক্তিপত্র (MoU) স্বাক্ষরের আশাবাদী। ডা. ইউনুসের মুখে জানা যায়, “চীনের বিনিয়োগ আমাদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ – এতে আমরা স্বাস্থ্যসেবা খাতে, অবকাঠামো ও শিল্প উন্নয়নে নতুন উদ্দীপনা আনতে পারব।”

দেশের স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগের কথা এই সফরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় উন্নয়ন ঘটানোর লক্ষ্যে বড় আকারের হাসপাতালে বিনিয়োগ এবং বিশেষায়িত চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হবে। এতে করে বিদেশে চিকিৎসার জন্য যাওয়া বাংলাদেশীদের সংখ্যা হ্রাস পাবে। বিশেষ করে প্রতিবেশী ভারতের ভিসা নীতির কারণে বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হওয়ায়, চীনের এই বিনিয়োগ বাংলাদেশের জন্য নতুন আশার বাতাস হয়ে উঠতে পারে।

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ভারতের সাথে সম্পর্কের জটিলতায় পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে, ডা. ইউনুসের চীনা সফর ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের তুলনায় নতুন কূটনৈতিক মডেল গড়ার প্রক্রিয়া হিসেবে দৃষ্টিপাত করা হচ্ছে। ঢাকা থেকে আগত মন্তব্যে জানানো হয়েছে, “চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের পুনর্গঠন এবং বিনিয়োগে প্রসার দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।”

চীন ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে অবকাঠামো ও জ্বালানী খাতে বিনিয়োগ করে এসেছে। এখন সেই পরিধি আরও প্রসারিত করে, উন্নত মানের উৎপাদন শিল্পে বিনিয়োগ আনার লক্ষ্যে আলোচনা চলবে। বিশেষ করে, চীনা 'সানসেট ইন্ডাস্ট্রিজ' বাংলাদেশে স্থানান্তরিত করে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ তৈরি হতে পারে। এছাড়া, প্রতিরক্ষা খাতে কৌশলগত সহযোগিতা এবং প্রযুক্তি স্থানান্তরের মাধ্যমে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সবল করা হবে বলে আশাবাদী।

ডা. ইউনুসের এই সফর শুধু বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিষয় নয়, বরং দেশের কূটনীতি, স্বাস্থ্যসেবা, এবং প্রতিরক্ষা খাতে সমন্বয় ও উন্নয়নের নতুন দিক উন্মোচনের সুযোগ এনে দিচ্ছে। যদিও এই সফরের ফলাফল নিয়ে বেশ কিছু সন্দেহও রয়ে গেছে, তবে এটি বাংলাদেশ ও চীনের পারস্পরিক স্বার্থে এক উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে।

বাংলাদেশ ও চীনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ৫০ বছরের পূর্তিতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে যাচ্ছে। দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ও কৌশলগত স্বার্থ রক্ষার লক্ষ্যে এই সফর এক বিরাট সুযোগ, যা দেশের জনগণ ও সমগ্র কূটনৈতিক পরিমণ্ডলে নতুন আলো ফেলে দেবে।

Nenhum comentário encontrado


News Card Generator