সেন্টমার্টিন দ্বীপে একমাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয় জিনজিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। যেখানে শিক্ষক সংকটে নিয়মিত পাঠদান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়ে নামমাত্র শিক্ষক থাকলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে প্রায়ই টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনে যেতে না পেরে বিদ্যালয়টি শিক্ষকহীন হয়ে পরে। সে সময়গুলোতে দপ্তরী দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হয় বলে জানা যায়।
জানা যায়, জিনজিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকসহ ৭ জন শিক্ষকের পদ থাকলেও ৩ জন শিক্ষক দিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চলে। ৩ জনের মধ্যেও একজন শিক্ষক সাসপেন্ড হয়ে থাকাই বর্তমানে ২ জন শিক্ষক বহাল রয়েছেন। প্রধান শিক্ষক না থাকায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও একজন সহকারী শিক্ষক। বিদ্যালয়ে ২০২ জন ছাত্র-ছাত্রী থাকলেও নিয়মিত একশ-দেড়শ জন ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত থাকে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারি ছুটি শেষে গত ২৪ জুন বিদ্যালয় খোলা হলেও বৈরি আবহাওয়ার কারনে ২৯ জুন পর্যন্ত কোনো শিক্ষক সেন্টমার্টিনে পৌঁছাতে পারছিলেন না। পরবর্তীতে ৩০ জুন দুজন শিক্ষক সেন্টমার্টিন পৌছায়। এদিকে শিক্ষক না থাকার কারণে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও তুলনামূলকহারে কমে গেছে।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত) আবু নোমান মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, ‘বিদ্যালয়ে প্যারা শিক্ষক ছাড়া বাকি শিক্ষকদের বাড়ি টেকনাফে। ছুটি শেষে তারা বৈরী আবহাওয়ায় টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনে যেতে না পারলেও পরবর্তীতে তারা পৌছেছিলেন। বৈরী আবহাওয়ার কারনে প্রায়ই এমন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় শিক্ষকদের।’
তিনি আরও বলেন, ‘সেন্টমার্টিনে যেতে সাগর পথে যেতে হয়। সেক্ষেত্রে জিনজিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হলেও নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকরা সেন্টমার্টিনে যেতে চান না। উক্ত বিদ্যালয়ে শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা চলছে।’
এব্যপারে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহেসান উদ্দিন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘জিনজিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সংকটের বিষয়টি আমি অবগত। শূন্য পদগুলোতে শিক্ষক নিয়োগের জন্য উর্ধতন কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
ইউনিয়নে একমাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয়, তবুও শিক্ষক সংকটে প্রায়ই বন্ধ থাকে শ্রেণিকার্যক্রম!..


No comments found