ইউক্রেনের একটি সেনা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১২ জন ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ৬০ জনের বেশি। রোববার (১ জুন) কিয়েভের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে সামরিক ক্ষয়ক্ষতির এ ধরনের প্রকাশ্য স্বীকৃতি খুবই বিরল ঘটনা।
সেনাবাহিনী হামলার সুনির্দিষ্ট অবস্থান না জানালেও তারা বলেছে, ওই সময় প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে কোনো গণসমাবেশ চলছিল না এবং অধিকাংশ সেনা সদস্য নিজ নিজ আশ্রয়ে ছিলেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, “শত্রুপক্ষ ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ ইউনিটের অবস্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।” নিহত ও আহতদের প্রকৃত সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রেনের প্রশিক্ষণ ইউনিটে নিরাপত্তা ঘাটতির অভিযোগ উঠেছে। এর আগে গত মাসে সীমান্তের কাছাকাছি রুশ হামলায় ৬ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সেনা নিহত হন। এক বিরোধী রাজনীতিক সেই ঘটনাকে সেনা নেতৃত্বের ‘অপরাধ’ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন।
সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, “যদি কোনো কর্মকর্তার নিষ্ক্রিয়তা বা দায়িত্বহীনতায় হতাহতের ঘটনা ঘটে থাকে, তবে দায়ীদের কঠোর জবাবদিহির আওতায় আনা হবে।”
এদিকে একই দিনে রাশিয়ার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তারা ইউক্রেনের উত্তরের সুমি অঞ্চলের একটি গ্রাম দখল করেছে। ইউক্রেন আশঙ্কা করছে, এই অঞ্চলে রাশিয়া নতুন স্থল অভিযান শুরু করতে পারে।
ইতোমধ্যে রাশিয়া সীমান্তে ৫০ হাজারের বেশি সেনা মোতায়েন করেছে বলে জানিয়েছে প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। গোলাবর্ষণের ঝুঁকিতে পড়ে সুমি অঞ্চলের দুই শতাধিক গ্রাম থেকে স্থানীয়দের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এই পরিস্থিতি ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের নতুন উত্তেজনার ইঙ্গিত দিচ্ছে।



















