close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

ইতিহাসের সেরা নির্বাচন দেখার অপেক্ষায় জনগণ: তারেক রহমান

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
তারেক রহমানের প্রত্যাশা— দেশের অভ্যন্তরে ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সম্মানিত দক্ষ নেতৃত্বের অধীনে একটি নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আসছে ঐতিহাসিক পরিবর্তন।..

বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক ঐতিহাসিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি মনে করেন, দেশের জনগণ খুব শিগগিরই দেখতে যাচ্ছে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন— যা হবে দেশের ইতিহাসে এক অনন্য উদাহরণ।

রবিবার (তারিখ উল্লেখযোগ্য হলে দিন) রাজধানীর কাকরাইলস্থ ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে তিনি সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেন এবং আগামী দিনের রাজনীতির রূপরেখা তুলে ধরেন।

তারেক রহমান বলেন, "আমরা আশা করছি, একটি অন্তবর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়ে সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের পথ সুগম করবে। সেই সরকারের নেতৃত্বে দেশের জনগণ ইতিহাসের সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার পাবে।"

তিনি আরও জানান, বিএনপি ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন, জনপ্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাঠামোগত সংস্কারের দাবি জানিয়েছে। এই সংস্কার ছাড়া দেশে কোনো গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।

তারেক রহমান বলেন, “আমাদের দাবি অত্যন্ত পরিষ্কার— জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে হবে, এবং তা হতে হবে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই। এই দাবি জনগণের, এই দাবি সবার।”

বিএনপির এই শীর্ষ নেতা আরও উল্লেখ করেন যে, বর্তমানে দেশে বিরাজমান ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে রাজপথে যারা আন্দোলন করে চলেছে, তাদের সংহত সংগ্রামের মাধ্যমেই গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা সম্ভব। তিনি বলেন, “রাজপথের সংগ্রামকে আমরা শক্তি হিসেবে নিচ্ছি, এবং সেই শক্তিকে কাজে লাগিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করাই এখন আমাদের মূল লক্ষ্য।”

তারেক রহমান আরও ইঙ্গিত দেন, বিদেশি পর্যবেক্ষকরাও বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে দৃষ্টি রাখছেন। এই মুহূর্তে একটি সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতারও প্রয়োজন আছে বলে তিনি মত দেন।

তিনি বলেন, "জনগণ ভোট দিতে চায়, তারা পরিবর্তন চায়। আর এই পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন একটি নিরপেক্ষ পরিবেশ।" তিনি বলেন, দেশে এমন অনেক যোগ্য, দক্ষ ও সম্মানিত ব্যক্তি রয়েছেন যারা একটি অন্তবর্তীকালীন সরকারে নেতৃত্ব দিয়ে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে পারবেন।

অনুষ্ঠানে তার বক্তব্যে বেশ কয়েকবার সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, "বর্তমান সরকার গণতন্ত্রের নামে শুধু একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন এখন সরকারের হাতিয়ার। এসব কাঠামো সংস্কার না হলে আগামীর নির্বাচন অর্থহীন হবে।"

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, দেশের জনগণ, রাজপথে আন্দোলনরত রাজনৈতিক দল ও আন্তর্জাতিক মহলকে সঙ্গে নিয়ে সামনে একটি ব্যালট বিপ্লব ঘটানো সম্ভব। আর সে বিপ্লবই হতে যাচ্ছে দেশের ইতিহাসে সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য ও জন-আকাঙ্ক্ষিত নির্বাচন।


 

তারেক রহমানের বক্তব্যে উঠে এসেছে—

  • নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবি

  • ডিসেম্বরের মধ্যে ভোট চাওয়া

  • প্রশাসন, ইসি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সংস্কারের আহ্বান

  • ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের শক্তিকে কাজে লাগানোর বার্তা

  •  

कोई टिप्पणी नहीं मिली


News Card Generator