close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

ইতিহাস গড়ে এশিয়ান কাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ নারী ফুটবল

Mehedi Hasan avatar   
Mehedi Hasan
এ যেন এক স্বপ্নের বাস্তব রূপ! ঋতুপর্ণা চাকমার জোড়া গোলে স্বাগতিক মিয়ানমারকে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল..

প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে লাল-সবুজের মেয়েরা।

মিয়ানমারকে হারিয়ে বাংলাদেশের পয়েন্ট দাঁড়ায় ৬। অন্যদিকে গ্রুপের আরেক ম্যাচে বাহরাইন ও তুর্কমেনিস্তান ২-২ গোলে ড্র করায় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া। ফলে বাছাই পর্বের ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ায় বসতে যাওয়া নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলবে বাংলাদেশ।

দুই ম্যাচ শেষে সি গ্রুপের পয়েন্ট টেবিলের চিত্র—বাংলাদেশ ৬, মিয়ানমার ৩, বাহরাইন ও তুর্কমেনিস্তান ১ করে। আগামী ৫ জুলাই তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচটি এখন শুধুই আনুষ্ঠানিকতা। ঐ ম্যাচে হারলেও মূল পর্বে খেলার ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব পড়বে না।

বাহরাইন-তুর্কমেনিস্তান ম্যাচটি ছিল রীতিমতো নাটকীয়। ম্যাচের শেষ দিকে ২-১ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল তুর্কমেনিস্তান। ম্যাচটি তারা জিতলে বাংলাদেশকে পরের ম্যাচে অন্তত ড্র করতেই হতো। কারণ সেক্ষেত্রে তিন দলেরই ছয় পয়েন্ট করে হওয়ার সুযোগ থাকত। কিন্তু ইনজুরি সময়ের গোলে ২-২ এ ড্র করে বাংলাদেশকে জটিল হিসেব-নিকেশ থেকে রক্ষা করেছে বাহরাইন।

অবশ্য গ্রুপে সমান পয়েন্ট হলেও বাইলজ অনুযায়ী হেড টু হেড বিবেচনায় এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশ। কারণ তারা মিয়ানমারকে পরাজিত করেছে। অর্থাৎ, যে কোনো পরিস্থিতিতেই বাংলাদেশ থাকবে শীর্ষে।

এটি বাংলাদেশের নারী ফুটবলের ইতিহাসে এক অনন্য মাইলফলক। ১৯৮০ সালে কুয়েতে প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপে খেলেছিল বাংলাদেশের পুরুষ দল। সেই দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে এবার ২০২৬ সালে প্রথমবারের মতো নারী দল অংশ নিচ্ছে এশিয়া কাপের মূল পর্বে।

বাংলাদেশ নারী ফুটবলের এই ঐতিহাসিক সাফল্যের পেছনে রয়েছে দীর্ঘদিনের পরিশ্রম, পরিকল্পনা এবং একঝাঁক প্রতিশ্রুতিশীল ফুটবলারের নিরলস প্রচেষ্টা। আজ তাদের হাত ধরেই ইতিহাসের পাতায় নতুন অধ্যায় লিখল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

Inga kommentarer hittades